পাতা:শিশু-ভারতী - ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-- অলিভার টুইষ্ট যতদিন বাচিয়া আছি, ততদিন তোমাব কোনও ভাৰনা নাই। তুমি নিশ্চিন্তু হইয়া এইখানেই থাক।” ব্রাউনলোর বাড়ীতে র্তাহার আপনার বলিতে কেহ ছিলেন না। তাহার উপর অলিভারের মিষ্টি স্বভাবে তিনি তাহাকে খুবই ভাল বলিয়া ফেলিয়াছিলেন। সেইজন্ত অলিভারকে তাহার বাড়ীতে রাখিতে তিনি কিছুমাত্র কুষ্ঠিত হন নাই। অলিভাব টুইষ্ট বেশ সুখে স্বচ্ছন্দে ব্রাউনলোর বাড়ীতে রহিল। কিন্তু তাহার অঞ্চষ্টে তখনও অনেক দুঃখ-কষ্ট সঞ্চিত ছিল। তাহাব অত স্থখ সহিবে কেন ? ব্রাউনলোব ঘরের দেওয়ালে একটী স্ত্রীলোকের ছবি টাঙ্গানো ছিল। সেই স্ত্রীলোকটীর চেহারার সঙ্গে অলিভাবের চেহাবীব আশ্চৰ্য্য রকম সাদত দেখিযা মাঝে মাঝে তিনি অবকৃ হইযা যাইতেন। সেইজন্ত একদিন কৌতুহলী হইযা তিনি অলিভারকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি তো এখন বেশ ভাল হইয়া উঠিযাছ। এখন তোমাব জীবনের সব কথা একদিন আমার কাছে বলিবে না ?” অলিভাব খুব আনন্দিত হইযা বলিল, “নিশ্চয়ই বলিব ।” কিন্তু যেদিন ব্রাউনলোর কাছে অলিভাবেব জীবনেব সব ঘটনা প্রকাশ কবিস। বলিবার কথা, সেদিন একটা দুর্ঘটনা ঘটিল। ব্রাউনলোব এক বন্ধু জানিতেন যে, অলিভার পূৰ্ব্বে চোব ও পকেটমাবাব দলে ছিল। সেইজষ্ঠ তিনি তাহাব বন্ধুকে বলিলেন, “বন্ধু, তুমি অলিভারকে অতটা বিশ্বাস করিও না। জান তো একটা কপী আছে-স্বভাব না যায় ম’লে।” ব্রাউনলো তাহাব বন্ধুর কথায অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হইযা বলিলেন, “আচ্ছা, তুমি অলিভাবের সাধুতা ও সততার কি প্রমাণ চাও ?” অনেক কথাবাৰ্ত্তার পর ঠিক হইল যে, অলিভাবকে একখানা পাচ পাউণ্ডের নোট দিয়া বইয়েব দোকানে পাঠানো চউক । সে যদি ভাল হয়, তবে ঐ টাকা চুরি কবিয পলাইবাব লোভ সামলাইয়া আবার ফিরিয়া আসিবে নিশ্চয়। বাউনলো তখনই অলিভারের হাতে একখানা পাচ পাউণ্ডেব নোট গুজিযা দিয়া তাহাকে কয়েকখানা বই দিয়া বলিলেন, “অলিভার এই বই কয়খানা বইওয়ালাকে ফিরাইয়া দিও। আর আমাব আছে বইওয়ালার চার পাউণ্ড দশ শিলিং পাওনা আছে। সেই টাকা কয়ট উচ্চাকে দিম৷ ৰাকী দশ শিলিং লইয়া শীঘ্ৰ করিয়া বাড়ী ফিলিয়ো ।” অলিভার টাকা ও বই লইয়া খুব উৎসাহের সঙ্গে বলিল, “এই কাজ ? আমি মিনিট দশেকের মধ্যে বাড়ী ফিরিয়া আসিতেছি ।” ব্রাউনলোব বাড়ীতে আসাব পবে সে আর কোনও দিন বার্ডীব বাহির হয় নাই। সেই দিনই প্রথম রাস্তাষ বাহির হইল। হুগন্সির কবলে ওদিকে যেদিন হইতে অলিভাব সেই বুডো ফ্যাগিনেল হাতছাড়া হইয়া গিয়াছিল, সেইদিন হইতে বুড়োব আর ভাবনা-চিস্তার অন্ত ছিল না। সে কেবলই ভাবিত যে, অলিভার হযত কাহারও কাছে তাছার চুরি ও পকেটমালাব ব্যবসায়েল কথা প্রকাশ কলিলা দিবে, আবে তাঙ্কাব ফলে একদিন তাছাপা সকলে বিপদে পড়িবে। এই বিপদ হইতে উদ্ধার পাওলাব জন্ত ফ্যাগিন ভাবিয়া ভাবিয়া একটা ফন্দী আঁটিয়াছিল। ফ্যাগিমেব দলে স্তান্সি বলিয়া একটী মেয়ে থাকিত, ফ্যাগিন সেই মেয়েটর উপর অলিভাবকে ফিরাইযা আনিবার ভার দিয়া একটা মতলব বাংলাইয। দিল । বুড়ো ফ্যাগিনের যড়যন্ত্রের পবদিন হইতেই চান্সি আল বিল্ সাইকস নামে ফ্যাগিনের দলেরই একট। লোক রোজই সেই বইয়েব দোকানটার কাছাকাছি লোবালুলি করিত। সেদিন যখন টাকা আল বই লইয়া অলিভার বইয়েল দোকানের কাছাকাছি গিয়াছে, অমনি, পিছন হইতে একজন স্ত্রীলোকের ডাক শুনিয়া সে ফিৰিখ দাডাইল । মেয়েট আর কেহ নছে— সে হান্সি। ছান্সি বলিতেছিল, "ভাই, তুমি কতদিন বাড়ী ছাডিযlছ ? আজ আমি তোমায় খুজিযা পাইয়াছি । আর ছাডি়েব না।” હારે কথা বলিয়া সে দৌড়াইয়া আসিযা অলিভারকে জড়াইয় ধবিল। অলিভার বিরক্ত হইয়া তাহাব হাত ছাড়াইয়া বলিল, “যাও, যাও। আমি তোমায় চিনি না।” ইহার মধ্যে বিল সাইকস আসিয়৷ হান্সিকে জিজ্ঞাসা করিল, “ব্যাপার কি ?” স্থান্সি বলিল, “এই ছেলেট আমাব ভাই। ও হারাইয় গিয়াছিল। এতদিন পরে আমি উহাকে ফিরাইয়। পাইয়াছি। কিন্তু এখন ও বাড়ী ফিরিয়া যাইতে २>२१