শিশু-ভারতী অ্যাণ্টোনিওকে খুব ভালবাসিত। কিন্তু ব্যাসানিও ( Bassanio ) নামক একজন সম্রাস্ত বংশের তরুণ যুবকের সহিত তাতার সবচেয়ে বেশি বন্ধুত্ব ছিল। ব্যাসানিওর আভিজাত্য গৌরব থাকিলেও অর্থেব গৌরব ছিল না। যে সামান্ত অর্থ তিনি সাইলকের ভূমিকায বিশ্ববিখ্যাত অভিনেতা স্তার হানবি আf৪ং উত্তরাধিকার-সূত্রে পাইয়াছিলেন, তাহার বেশির ভাগই তিনি আমোদ-প্রমোদে ব্যয় করিয়া ফেলিয়াছিলেন এবং প্রয়োজন হইলেই অ্যাণ্টোনিওর নিকট হইতে টাকা ধার করিতেন। তাহাদের মত অভিন্নহৃদয় বন্ধু একরকম দেখা যায় না বলিলেই চলে। একদিন ব্যাসানিও অ্যাণ্টোনিওর নিকট তিন হাজার ডাকাটু (ইটালী দেশীয় মুদ্রা) ধার চাহিলেন। ভেনিসের নিকট বেলমণ্ট সহর— সেখানে পোরসিয়া (Portia ) নামে একজন আনি রূপবতী ও গুণবতী ধনী-কন্যাকে তিনি বিবাহ করিতে চান। পোরসিয়া ধনী পিতার একমাত্র উত্তরাধিকারিণী এবং সম্প্রতি পিতার মৃত্যুতে সমস্ত সম্পত্তির অধিকারিণী। এমন পোরসিয়ার প্রাণিপ্রার্থী হইয়া যাইতে হইলে তদুপযুক্ত উপকরণের প্রয়োজন, সুতরাং ব্যাসানি ৪র টাকা না হইলে চলিবে কেন ? কিন্তু অ্যান্টোনিওর হাতেও টাকা নাই। তখন দুই বন্ধু মিলিয়া সাইলকের নিকট গেলেন। সাইলক দেখিল এই তাহার উত্তম সুযোগ, তাই অ্যাণ্টোনিওর উপব প্রতিশোধ লইবার এমন সুযোগ সে কিছুতেই ছাড়িল না। সে তিন হাজার ডাকাই বিনা স্বদে ধার দিল, কিন্তু তিন মাসের মধ্যে যদি অ্যাণ্টোনিও টাকা শোধ করিতে না পারেন, তবে তাহার শরীরের যেখান হইতে খুশী সেখান হইতে সাইলক এক পাউণ্ড (প্রায় অৰ্দ্ধ সের ) মাংস কাটিয়া লইবে । ব্যাসানিও এইরূপ সৰ্ত্তে রাজি হইতে যথেষ্ট আপত্তি করিলেও অ্যাণ্টোনিও ঐ সৰ্ত্তে টাকা ধার করিলেন। তাহার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, তাহার জাহাজগুলি তিন মাসের মধ্যে বহু অর্থ লইয়া বিদেশ হইতে ফিরিয়া আসিবে এবং সামান্য তিন হাজার ডাকাট, শোধ করিতে র্তাহার মোটেই বেগ পাইতে হইবে না। এ দিকে ব্যাসানিওই শেষ পৰ্য্যন্ত পোরসিয়ার স্বামীরূপে নিৰ্ব্বাচিত হইলেন এবং তাহাদের বিবাহের কথা স্থির হইয়া গেল। পোরসিয়া ও ব্যাসানিওর আনন্দের সীমা নাই। ব্যাসানিও যে মোটেই ধনী ২১৩৮
পাতা:শিশু-ভারতী - ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৬৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।