শিশু-ভারতী দিলেন এবং যথোচিত উপদেশ চাহিয়া পাঠাইলেন। ব্যালারিওর উপদেশ পৌঁছিলে তাহার প্রেরিত আইন ব্যবসায়ীর পোষাক পরিধান করিয়া পোরসিয়া নিজে অ্যাণ্টোনিয়োকে বাচাইবার জন্য ভেনিস অভিমুখে যাত্রা করিলেন। নেরিসাও তাহার সঙ্গে C히F | বিচার আরস্ত হইয়াছে—ভেনিসের ডিউক স্বয়ং বিচারালয়ে উপস্থিত। পোরসিয়া আইন ব্যবসায়ী এবং নেরিস তাহার কেরাণীরূপে সেখানে উপস্থিত হইল। ব্যাসানিও এই ছদ্মবেশী পোরসিয়াকে চিনিতে পারিলেন না। পোরসিয়া প্রথমে দয়ার অশেষ গুণের কথা বলিলেন এবং সাইলককে অ্যাণ্টেনিওর প্রতি সদয় হইতে অনুরোধ করিলেন । এত সুন্দর ভাবে তিনি দয়ার ব্যাখ্যা করিলেন যে, তাহ শুনিয়া অতি বড় পাযাণ হৃদয়ও বিগলিত হয়, কিন্তু সাইলকের হৃদয় পাষণের চেয়েও কঠিন। তিনি যখন বুঝিতে পারিলেন যে, অনুনয়-বিনয়ে কোন ফল হইবে না—সাঈলক তাহার অঙ্গীকার-পত্রে যে সৰ্ব আছে, তাহা হইতে একচুল নড়িবে না, তখন তিনি অঙ্গীকার-পত্ৰটী দেখিতে চাহিলেন এবং দেখিয়া বলিলেন যে, মেয়াদ ফুরাইয়া যাওয়ায় অ্যাণ্টোনিওর এক পাউণ্ড মাংস তাহার প্রাপ্য ৷ পোরসিয়া তাহার পক্ষ সমর্থন করিতেছেন মনে করিয়া সাইলকেব আনন্দের সীমা রক্রিল না—সে পোরসিয়ার খুব প্রশংসা করিতে লাগিল। পোরসিয়া তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন যে, টাকা লইয়া সে অ্যাণ্টোনিওকে নিস্কৃতি দিবে কি না। ব্যাসানিও তিন হাজারের পরিবর্তে যাট হাজার ডাকা দিতে চাহিলেন কিন্তু সাইলক রাজি হইল না। সাইলক তখন মনের আনন্দে তাহার ছুরি শান দিতে লাগিল। অ্যাণ্টোনিওর আজ আর নিস্তার নাই কিন্তু তিনি সুখ-দুঃখে রঅতীত অবস্থায় আসিয়া উপস্থিত হইয়াছেন। পোরসিয়া অ্যান্টোনিওকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তাহার কিছু বলিবার আছে কিনা। অ্যাণ্টোনিওর কিছুই বলিবার ছিল না। তিনি ব্যাসানিওকে বলিলেন, “বন্ধু, তোমার জন্ত আমি মরিতেছি—এ কথা ভাবিয়া কষ্ট পাইও না। তোমার স্ত্রীকে আমার প্রীতি | | .
- |
| আইন ব্যবসায়ীর বেশে পোরসিয়া সম্ভাষণ জানাইও । তোমাকে আমি কত ভালবাসিতাম, সে কথা তাহাকে বলিও।” ব্যাসানিও উত্তর করিলেন, “আমার স্ত্রীকে আমি প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসি কিন্তু আমার নিজের জীবন, আমার স্ত্রী, আমার সর্বস্ব দিয়াও তোমায় আজ আমি রক্ষা করিতে প্রস্তুত।” পোরসিয়া ব্যাসানিওর একথা শুনিয়া মোটেই রাগ করি R 280