পাতা:শিশু-ভারতী - ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিশু-ভারতী সদাশয় অ্যাণ্টোনিও তাহার প্রাপ্য অৰ্দ্ধেক গ্রহণ করিলেন না। তিনি বলিলেন যে, যদি সাইলক তাহার মৃত্যুর পর ঐ সম্পত্তি তাহার মেয়ে জেসিকা (Jossica) ও আহার স্বামী লরেঞ্জোকে (Lorenzo) দিবার অঙ্গীকার করিয়া লেখাপড়া করিয়া দেয়, তবে তিনি তাহার দাবী ছাড়িয়া দিবেন। সাষ্টলক পরাজিত ও বিধ্বস্ত হইয়া তাতাতেই রাজি হইল এবং গুহে ফিরিয়া যাইবার অল্পমতি চাহিল। ডিউক তখন বলিলেন, “সাইলক, তুমি যদি তোমার তকৰ্ম্মেব জন্য অনুতপ্ত হও এবং খ্ৰীষ্ট ধৰ্ম্ম অবলম্বন কর, তবে তোমাব অপর অৰ্দ্ধও ভোমাকে ফিরাইয়া দেওয়া হইবে।” অ্যাণ্টেনিওর মুক্তিতে সকলেই খুব আনন্দিত হইলেন। ডিউক পোরসিয়ার বুদ্ধি ও প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের খুব প্রশংসা করিলেন এবং তাহকে নিজগৃহে নিমন্ত্ৰণ করিলেন কিন্তু পোরসিয়াকে তাহার স্বামীর পূৰ্ব্বে বেলমণ্টে ফিরিয়া যাইতে হইবে, সুতরাং তিনি বিনীত ভাবে জানাইলেন যে, কোন বিশেয কারণ বশতঃ তিনি তাহার নিমন্ত্রণ গ্রহণ করিতে অক্ষম । এই তরুণ আইন ব্যবসায়ীর জন্যই অ্যাণ্টোনিও রক্ষা পাইয়াছেন–র্তাহার কাছে ব্যাসানিওব কৃতজ্ঞতার অন্ত নাই। ব্যাসানিও তাহাকে তিন হাজার ডাকাট, দিতে চাহিলেন, কিন্তু তিনি কিছুতেই লইবেন না। পোরসিয়া যখন কিছুতেই টাকা লইলেন না, তখন উপহার হিসাবে কিছু লইবার জন্য ব্যাসানিও তাহাকে খুব পীড়াপীড়ি করিতে লাগিলেন। অ্যাণ্টোনিওর নিকট হইতে তিনি তাহার দস্তানা চাহিয়া লইলেন, আর ব্যাসানিওর নিকট চাহিলেন প্তাহার আংটট। কিন্তু সে আংটটী ব্যাসানিও কিছুতেই দিতে পারেন না, ঐ আংটী তাহার স্ত্রীর দেওয়া এবং তিনি স্ত্রীর নিকট প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে, কোন কারণেই তিনি ঐ আংটী হস্তান্তর করিবেন না। ব্যাসানিও সে কথা তাহাকে বলিলেন এবং আরও বলিলেন যে, ঐ আংটার বদলে ভেনিসের সবচেয়ে মূল্যবান আংটা তিনি তাহাকে উপহার দিবেন। পোরসিয়া রাগের ভান করিয়া বলিলেন, “ভিক্ষুকের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করিতে হয় মহাশয়, আপনার নিকট তাহা শিখিলাম।" ཝ།ན།། পর তিনি চলিয়া গেলেন। | অ্যাণ্টোনিও তখন ব্যাসানিওকে বলিলেন, “ভাই ব্যাসানিও, এই ব্যক্তির জন্ত আমি আজ জীবন পাইলাম। আমার খাতিরেই না হয় তুমি তাহাকে আংটট। দিলে। তোমার স্ত্রীর অসন্তুষ্টর চেয়ে এই দানকে কি তোমার উচ্চস্থান দেওয়া উচিত নয় ?” ব্যাসামিও একটু লজ্জিত হইলেন এবং গ্রাসিয়ানোকে দিয়া আংটাটা তাহার নিকট পাঠাইয়া দিলেন। গ্রাসিয়ানো পোরসিয়াকে সে আংটাটা দিয়া ত আসিলই, সঙ্গে সঙ্গে নিজের আংটীটাও বালকবেশী নেরিসাকে দিয়া আসিল । পোরসিয়া বেলমণ্ট ফিরিয়া চলিয়াছেন। তাহার আর আনন্দের সীমা নাই— আকাশে বাতাসে সৰ্ব্বত্র যেন আনন্দের মেলা বসিয়া গিয়াছে। সৎকার্য্যের আত্মপ্রসাদ এইরূপই হইয়া থাকে। চাদের আলোতে সমস্ত পৃথিবী ভরিয়া গিয়াছে, দূর হইতে র্তাহার ঘরের আলো দেখা যাইতেছে, আর র্তাহার নিজের বাড়ী হইতেই গানের স্বর ভাসিয়া আসিতেছে। আজ সব জিনিষই পোরসিয়ার নিকট অপূৰ্ব্ব মায়ুৰ্য্যময় মনে হইতে লাগিল । পোরসিয়া এবং নেরিস গৃহে পৌঁছিয়া র্যার র্যার প্রকোষ্ঠে নিজেদের স্বামীর অপেক্ষা করিতে লাগিলেন। কিয়ৎক্ষণ পরে २98२