কুষাণ বংশের পতন ও গুপ্ত বংশের অভু্যদয় ----- সংস্কৃতি স্নান হইয়াছিল। বর্ণাশ্রমের বন্ধন শিথিল হইয়া পড়িয়াছিল। ভারশিবদের রাজ্যকালে আর্যসভ্যতার নবজীবনের সঞ্চার হইয়াছিল। ७९४गांश्ञtअg এইবার তোমাদিগকে গুপ্তসাম্রাজ্যের ইতিহাসেব কথা বলিব । গুপ্তসাম্রাজ্যের কাল প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের সুবর্ণযুগ বলিয়া একবাক্যে স্বীকৃত হইয়াছে। এই যুগে বড় বড় শক্তিশালী রাজারা পশ্চিমে দ্বারক হইতে পূৰ্ব্বে আসাম পৰ্য্যন্ত ও উত্তরে হিমাচল হইতে দক্ষিণে নৰ্ম্মদার উপকূল পৰ্য্যস্ত নিজেদের প্রভাব বিস্তার কবিয়াছিলেন। এই যুগে ভারতবর্ষ বিদেশী রাজাদের অধীনতা পাশ হইতে সম্পূর্ণ মুক্ত হইযছিল। মৌর্য্য যুগের পরে ভারত আব একবার বিবাটু সাম্রাজ্যস্থত্রে গ্রথিত হইয়াছিল। সংস্থত সাহিত্যের অপূৰ্ব্ব শ্ৰীবৃদ্ধি হইষাছিল। বর্ণাশ্রমধৰ্ম্মের পুনরায় অদ্ভুত্থান হইযাছিল। ললিতকলার অশেষ উন্নতি হইয়াছিল। ভারতের বাহিরেও ভারতেব জ্ঞান, বিদ্যা, ধৰ্ম্ম ও সভ্যতার বিশেষ আদর হইধাছিল। এই উন্নতির মূলে ছিল গুপ্তবংশীয রাজাদের আশ্চৰ্য্য সৰ্ব্বতেমুখী প্রতিভা, তাহদের প্রভাব ও অদ্ভুত সংগঠনশক্তি। প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে গুপ্তবংশের কীৰ্ত্তিকলাপ অতুলনীয়। সৌভাগ্য বশত: গুপ্ত রাজাদেব রাজত্ব কালীন ভারতের ইতিহাস লিখিবার প্রচুব উপকরণ পাওয়া যায়। গুপ্তবাজগণ কর্তৃক উৎকীর্ণ অনেক শিলালেখ, তথা তামলিপি এবং তাহীদের দ্বারা অঙ্কিত অনেক মুদ্রা পাওয়া গিয়াছে। এই সকল সাধনের সাহায্যে তঁহাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ ইতিহাস নিৰ্ম্মাণ করা বিশেষ কঠিন নহে। তাহা ছাড়া খৃষ্টাষ পঞ্চম শতাব্দীর প্রাবস্তে চীন দেশীয় বৌদ্ধ শ্রমণ ফাছিয়ান ভারতভ্রমণে আসিয়াছিলেন । এই ভ্রমণ-বিবরণ হইতে গুপ্ত-রাজাদের সময়কাব সামাজিক অবস্থা, শাসনব্যবস্থা ও ধৰ্ম্ম-পরিস্থিতির বিষয় অনেক কিছু জানা যায়। তাহা ছাড়া প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্যে, বিশেষত: কাব্য ও নাটকে তাহদের যুদ্ধ-বিগ্রহের বা কীৰ্ত্তিকলাপের অল্পবিস্তর উল্লেখও পাওয়া যায়। খৃষ্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর শেষ ভাগে মগধে ঐগুপ্ত নামক গুপ্তবংশসস্থত একজন সামস্তরাজার
- -
F. 10 বিষয় অবগত হওয়া যায়। তিনি কাহার অধীনে রাজ্য করিতেন, তাহা জানা যায় না এবং তাহাব পরবর্তী রাজাদের নামও অপরিজ্ঞাত। কোন কোন পণ্ডিত মনে করেন যে, এই শ্ৰীগুপ্ত ও গুপ্তলেখমালার মহারাজ গুপ্ত অভিন্ন ব্যক্তি। কিন্তু ইহা মনে করিবার কোন সঙ্গত কারণ নাই। গুপ্তবংশের প্রতিষ্ঠাতাব নাম গুপ্ত। ইহাকে গুপ্তলেখমালায় ‘মহারাজ' উপাধিতে ভূমিত দেখা যায়। ইনি মগধে ২৭৫ খৃষ্টাব্দেব কাছাকাছি লাজ্য স্থাপন করিয়াছিলেন। এই সমযে উত্তলাপপের বাজনৈতিক অবস্থা কিরূপ ছিল, তাহ জানা আপশুক। আর্গ্যাবত্তের বিস্তৃত ভূভাগে নাগবংশীয় রাজাদের আধিপত্য ছিল। পদ্মাবতী অহিচ্ছত্র, মথুবা প্রভৃতি প্রদেশ ইহাদেব রাজশক্তির কেন্দ্র ছিল। সিন্ধু, কচ্ছ ইত্যাদি প্রদেশে 'ম্লেচ্ছ’ অর্থাৎ শক জাতীয় বাজাদেব অধিকার ছিল। উজ্জয়িনীতে শকদংশীষ ক্ষত্রপদের প্রভুত্ব তখনও অক্ষুধ ছিল। ইহা ছাড়া পঞ্জাবের অংশবিশেষে এবং মালব, বাজপুতানা ইত্যাদি প্রদেশে যৌধেয়, মালব প্রভূতি কতকগুলি স্বাধীন গণতন্ত্র রাজ্য ছিল। দাক্ষিণাত্যেও ভিন্ন ভিন্ন রাজবংশের অধিকার ছিল। এই সকল বংশের মধ্যে প্রথম উল্লেখযোগ্য বাকাটক বংশ। এই বংশের প্রতিষ্ঠাতা বিন্ধ্যশক্তি খৃষ্টায় দ্বিতীয় শতাব্দীর মধ্যভাগে আধুনিক বুন্দেলখণ্ডের অংশবিশেলে একটি ক্ষুদ্র রাজ্য স্থাপন করিযাছিলেন। বিন্ধ্যশক্তির বংশধরেরা স্বীয় বাহুবলে বুন্দেলখণ্ড হইতে কর্ণাটক পর্য্যস্ত বিস্তৃত একটি বিশাল সামাজ্য গঠিত করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। সে অবহু পরেব কথা। গুপ্তবংশের প্রতিষ্ঠাব সময় বাকাটক রাজশক্তি বেশি প্রবল ছিল না। দাক্ষিণাতোর পশ্চিম প্রদেশে নাসিকের নিকটবৰ্ত্তী স্থান-সমুহে “আভীর’ নামক একটি জাতির অধিকার ছিল। ত্ৰৈকুট নামক একটি বাজবংশের প্রভুত্ব কোঙ্কণ প্রদেশে ( বম্বের উত্তরে সমুদ্রতীরস্থ প্রদেশ ) স্থাপিত ছিল। কুস্তল (আধুনিক কানারা প্রদেশ ) দেশে প্রতাপাম্বিত কদম্বরাজবংশের শাসন স্বপ্রতিষ্ঠিত ছিল। কদম্বরাজ ব্রাহ্মণকুলাবতংশ ময়ুর শৰ্ম্ম ২৮৫ খৃষ্টাব্দে ংহাসনাবোহণ করিয়াছিলেন। পূৰ্ব্বদক্ষিণাত্যে কৃষ্ণা ও গোদাবরী নদীর মধ্যবৰ্ত্তী সমুদ্র তটবর্তী 3 x 49