পাতা:শিশু-ভারতী - ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিশু-ভারতী ছানাগুলি সেই গাছের নীচে হইতে সরাইয়া লইয়া গিযাছে এবং অদ্ভুত ভাবে চেচাইতেছে ও আকাশে ঘন ঘটা করিয়া ঝড় আসিবার লক্ষণ দেথা যাইতেছে। তাহারা প্রথমে কুকুরটির অদ্ভুত ব্যবহারে হতভম্ব হইয়া গেল কিন্তু পরে নিজেদের মধ্যে সিদ্ধাস্ত করিযা লইল যে, নিশ্চয়ই কুকুবটি নিম গাছের কাছে কোন সাপ দেখিযাছে, তাই ঝড়ের সময় পার্থীরাও খুব অস্থিরতা প্রকাশ করে। পাৰ্ব্বত্য অঞ্চলে দেখা যায় যে, ঝড়ের অনতিকাল পূৰ্ব্ব হইতেই দলে দলে পার্থীরা ডান। মেলিয়া পৰ্ব্বত হইতে পৰ্ব্বতাস্তরে উড়িয়া যাইতেছে। ঝড়ের সময় দাড়াকাকদের প্রায়ই সজোরে ডানা ঝটুপটু করিতে দেখা যায়। মোটের উপর মনে হয় যে, তোমরা যদি সব সময় আবহাওয়া নিরূপণ-যশ্লেব অপেক্ষায় না থাকিয়া দাঁড়কাকের পাশা স্কট্‌পট্‌ করিতেছে ওরূপ করিতেছে। সুতরাং তাহ বা ভয়ে ভযে তল্লি-তল্প। গুটাইয়া সে গাছের নীচ হইতে সরিয়া আসিল । কিন্তু কি আশ্চৰ্য্য, তাহারা গাছের নীচ হইতে চলিয়া আসিবার তিন-চার মিনিট পরেই সেখানে খোর রবে বজ্রপাত হইল এবং দেখিতে দেখিতে গাছটি ভস্মীভূত হইয়া গেল। তখন সকলেই বুঝিতে পারিল, কুকুরটি ওরূপ করিতেছিল কেন। এই গল্পট হইতে তোমরা বুঝিতে পাবিতেছ যে, কুকুর যে ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাতের পূর্বাভাষ জানিতে পারে, তাহ কাল্পনিক নহে। এই সংবাদটি এলাহাবাদের "Leadel’ নামক একখানা দৈনিক কাগজে (১৫ই জুলাই, ১৯৩৫ ) প্রকাশিত झ्हेब्राष्ट्रिण। প্রকৃতির এই সকল জীবন্ত ব্যারোমিটারের প্রতি অধিক লক্ষ্য রাখ, তাহা হইলে তোমবও অতি সহজেই আবহাওয়া সম্বন্ধে এক একজন ভবিষ্যদ্বক্ত হইয়া উঠিতে পরিবে । আমাদের দেশেব সাধারণ কৃষকেরা, নৌকার মাঝিরা, গ্রাম্য পুরুষ ও স্ত্রীলোকের আকাশের দিকে তাকাইয়া এবং মেঘের অবস্থা দেখিয়া ঝড় ও বৃষ্টির অবস্থা বুঝিতে পারে। ডাকের বচন, খনার বচন—এই সকল প্রচলিত শ্লোক হইতেও আবহাওয়ার পূর্বাভাষ জানা যায়। তোমরা আকাশের মেঘের দিকে যদি লক্ষ্য কর, তাহা হইলে কোন মেঘ হইতে বৃষ্টি হইবে বুঝিতে পরিবে। এইরূপ প্রাকৃতিক শিক্ষা যেমন কৌতুহলোদ্দীপক তেমন আনন্দদায়ক । ২১৬০