পাতা:শিশু-ভারতী - ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্পন্স্থলে--" কত ডাঙ্গা জল হয়ে গেছে, কত জল ডাঙ্গ হয়ে গেছে। ভূগর্ভ ত আজও পূরোপুরি কঠিন হয়ে যায় নাই, তার জাগুনের ঠেলায় এই সব বিপৰ্য্যয় ক্রমাগতই হচ্ছে। ধর, যেমন বিখ্যাত গণ্ডোয়ানা যুগে সমুদ্রভাগ এখনকার চেয়ে অনেক কম ছিল, ডাঙ্গা অনেক বেশী ছিল। অতএব তোমরা এইটুকু মনে রেখো যে, জলস্থলের যে ভাগ তোমরা আজ দেখছ, তা চিরন্তন নয়। পণ্ডিতেরা মনে করেন যে, সমুদ্রের আয়তন নানা কারণে ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। কিন্তু সে এত ধীরে ধীরে যে, সেজন্য তোমাদের কোনও ভয়-ভাবনার কারণ নেই। এখনও বহু যুগ এই ভূমণ্ডল নরনারী, পশু-পক্ষী, কীট-পতঙ্গের আবাসস্থল থাকবে। এই যে বললাম সমুদ্রের আয়তন কমে যাচ্ছে, এর থেকে তোমরা যেন মনে কোরো না যে, সাগরের জল শুকিয়ে যাচ্ছে। সাগরের জল শুকিয়ে যাবে কোথায় ? বাষ্প হয়ে আকাশে উঠবে বটে, কিন্তু সেখানেও ত তার থাকবার উপায় নেই। প্রথম জমে মেঘ হবে, তার পর বৃষ্টি তুষার হয়ে এই পৃথিবীতেই পড়বে, আর পৃথিবীর যেখানেই পড়ক, তাকে গড়িয়ে গিয়ে শেষ পর্য্যন্ত মহাসমুদ্রে মিশতেই হবে । ভূ-বিস্ত৷ পড়বার সময় তোমরা শিখেছ যে, এই বৃষ্টির জল সমুদ্রের পানে যেতে যেতে নানা জিনিস সঙ্গে নিয়ে যায়। ডাঙ্গা ধুয়ে বালি-কাদা কাকর তো বয়ে নিয়ে যায়ই। উপরস্তু বড় ছোট কত পাথর, শুধু মুড়ী নয় চাঙ্গড়া পৰ্য্যন্ত, গড়াতে গড়াতে ঠেলতে ঠেলতে নিয়ে গিয়ে সমুদ্রে ঢেলে দেয়। এই সমস্ত পদার্থ, যা জলের টানে এসে সমুদ্রে পড়ে, সেগুলো কিছু বেলাভূমির উপরেই পড়ে থাকে না।



RX být -o-o-o আপন জোরে সেগুলোকে টেনে দিয়ে দুতিনশো ক্রোশ অবধি জলের তলায় বিছিয়ে দেয়। এ সব তোমাদের কাছে পুরানো কথা। ক্ষিতিমণ্ডলের এই ভাঙ্গা-গড়ার ব্যাপার এখানে আবার বর্ণনা করে কোন ফল নেই। সমুদ্র-তলট কি রকম দেখতে, সেখানে কি কি আছে, এ সকল কথা পরে বলব । আপাততঃ সমুদ্রের জলের কথা বলি, শোন। এ জলে আছে কি ? খেল তৃষ্ণ মেটে না। স্নান করতে করতে একটু পেটে গেলে তখনই আবার পেট থেকে বেরিয়ে আসে। এর স্বাদ অত্যন্ত নেন, একটু একটু তেতে। নদীর জলে, কুয়োর জলে, পুকুরের জলে তো কই এ রকম হয় না । ছে কে নাও, . ফিল্টার করে নাও, কোন তফাৎ হৰে না, যেমনকার তেমনি বিস্বাদ থাকবে। তাহলে বুঝতে হবে যে, কাদা মাটি ছাড়াও আর কিছু এর মধ্যে আছে। শুধু আছে তা নয়, জলে একেবারে গোল রয়েছে। সমুদ্রের জল খানিকটা নিয়ে যদি ফোটাও তাহলে জলটা সব মরে গেলে দেখতে পাবে যে, সাদা সাদা কিসের দান। পড়ে আছে। এই সাদা পদার্থটা অধিকাংশ আমাদের নিত্যকার খাদ্যদ্রব্য মুন। তাছাড়া আরও অন্য অনেক রকমের লবণ এই জলে আছে। পণ্ডিতেরা পরীক্ষা করে স্থির করেছেন যে, হাজার ভাগ সাগর-জলে পয়ত্রিশ ভাগ লবণ আছে। অার এই পয়ত্রিশ ভাগের মধ্যে লাতাশ ভাগ জমামাদের थांदाद्र मूरन-द्रनाग्नtन याब्र नाभ cना७िग्नभ ক্লোরাইড। বাকী আট ভাগের মধ্যে এক রকম চা-খড়ির মত লবণ আছে, যার নাম তোমাদের জানা উচিত—কেলসিয়াম বাইকাৰ্ব্বনেট। প্রবাল কীট ও অস্ত নানা রকম (श्कि--ाभूक छाडौग्र) नभूम्जब्र औद जल সেমু প্রথকে এই লবণ টেনে নেয়, তাদের শরীর }مممممم- جمہممممم۔