পাতা:শিশু-ভারতী - ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩১• শকাব্দে অর্থাৎ ৩৮৮ খৃষ্টাব্দে স্বনামে ब्रजङभूजा भूजांशन कब्रॉइब्राझिालन । श्रावांद्र দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত ৯০ গেীপ্তান্সে (অর্থাৎ ৩১৯+ ৯০ = ৪০৯ খৃষ্টাব্দে) শকরাজগণের অনুকরণে নিজ নামে রৌপ্যমুদ্রা, মুদ্রাঙ্কন আরম্ভ করেন। অতএব ৩৮৮ ও ৪০৯ খৃষ্টাব্দের মধ্যবৰ্ত্তী সময়ে মহারাজ রুদ্রসিংহের রাজ্য চন্দ্রগুপ্ত জয় করিয়াছিলেন। শকবিজয়ের পরই চন্দ্র গুপ্ত 'বিক্রমাদিত্য' উপাধি ধারণ করিয়াছিলেন। তাহার মুদ্রায় “বিক্রমাঙ্ক’, ‘শ্ৰীবিক্রম’, ‘বিক্রমাদিতা', ‘অজিতবিক্রম’, ‘সি-চবিক্রম ইত্যাদি উপাধি পাওয়া যায়। এই সকল উপাধির মধ্যে “বিক্রমাদিতা’ উপাধিষ্ট বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এই উপাধি ভারতবর্ষে প্রাচীনকাল হইতেই প্রচলিত ছিল। পুরাকালে উজ্জয়িনীর এক রাজা শকদিগকে পরাজিত করিয়া বিক্রমাদিত্য উপাধি ধারণ করিয়াছিলেন ও বিক্রমাদ প্রবর্তিত করিয়াছিলেন। গুপ্তবংশীয় সম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তও এই শকারি বিক্রমাদিত্যের অনুকরণে শকজাতীয় ক্ষত্রপ বংশের রাজ্য নাশ করিয়া উজ্জয়িনী অধিকার করিয়াছিলেন ও বিক্রমাদিতা উপাধি ধারণ করিয়াছিলেন। শকবিজয় সমাপ্ত করিয়া চন্দ্রগুপ্ত ইতিহাস-প্রসিদ্ধ পুরশ্রেষ্ঠ উজ্জয়িনীতে গুপ্তসাম্রাজ্যের পশ্চিম ভাগের রাজধানী স্থাপিত করিয়াছিলেন। তিনি পাটলিপুত্রকে ভুলিয়া যান নাই । ‘কথাসরিৎসাগর নামক গল্পগ্রন্থে র্তাহাকে পাটলিপুত্রের রাজ বলা হইয়াছে। চন্দ্র গুপ্তের রাজ্যকালের আর একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য ঘটনা রাজকুমারী প্রভাবতীদেবীর লাকাটক-বংশীয় রাজা রুদ্রসেনের সহিত শুভ পরিণয়। সে সময়ে বাকাটকদের প্রভুত্ব নৰ্ম্মদা নদীর উপকুল হইতে কৃষ্ণ নদীর তট পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। কদম্ববংশীয় কুন্তলরাজ তাহার


حماسهساس

-• •िखs-पछान्क्लप्टी ૨૭.૨૨ --- অধীনতা স্বীকার করিয়াছিলেন। অতএব , চন্দ্রগুপ্তের সমকক্ষ না হইলেও বাকাটকরাজ রুদ্রসেনের প্রতাপ নিতান্ত কম ছিল না। ইচ্ছা করিলে তিনি গুপ্তরাজের অনিষ্ট সাধন করিতে পারিতেন । নৰ্ম্মদ সীমাস্তের রক্ষার জন্য বাকাটক রাজের মিত্ৰত অতিশয় প্রয়োজনীয় ছিল। কূটনীতিকুশল চন্দ্রগুপ্ত এটা বুঝিতে পারিলেন ও ੇ সহিত স্বীয় কুন্ত প্রভাবতী দেবীর বিবাহ দিয়া বাকাটক রাজের সহিত সখ্যসূত্রকে দৃঢ় করিলেন ও সঙ্গে সঙ্গে সাম্রাজ্যের দক্ষিণ সীমাকে নিষ্কণ্টক করিলেন। . দিল্লীর কুতবমিনারের নিকট মেঙ্গরৌলি নামক একটি গ্রাম আছে। এইস্থানে একটি লৌহস্তম্ভের গায়ে খোদিত লিপি পাওয়া গিয়াছে। এই লিপিতে ‘চন্দ্র’ নামক একটি বিজয়ী রাজার বিজয় বার্তা সংক্ষেপে উল্লেখ করা হইয়াছে। এই চন্দ্র কে ? তিনি প্রথম চন্দ্রগুপ্ত না দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত ? কিম্বা উভয় হইতে ভিন্ন অন্য কোনও বিস্মৃত রাজা ? এই প্রশ্ন লইয়া পণ্ডিতদের মধ্যে মতভেদ চলিয়া আসিতেছে। মনে হয় যে তিনি দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত ভিন্ন অপর কেহ হইতে পারেন না। মেহরেীলি-লিপির চন্দ্রকে বঙ্গদেশে বিদ্রোহী শক্রদলকে বিনাশ করিতে হইয়াছিল। ইহা হইতে মনে হয় যে 'চন্দ্র সমুদ্রগুপ্তের পরবর্তী কোন রাজ৷ হইবেন। কারণ, সমুদ্রগুপ্ত প্রথম বঙ্গরিজয় করিয়াছিলেন। অতএব তাহার পরেই বঙ্গবিদ্রোহ সম্ভব। আবার ‘চন্দ্র সিন্ধুনদের সপ্তমুখ পার হইয়া বাহুলীকদিগকে জয় করিয়াছিলেন। পঞ্জাবের পাচটি নদী ও কাবুল এবং কুনার নদী লইয়া সাতটি নদী। এই সাতটি নদীকে সিন্ধুনদের ‘সপ্তমুখ’ বলা হইয়াছে। পর পর সাতটি নদীকে পার হইয়া কাবুল, ও কপিশা হইয়া ‘একাধিরাজ' চন্দ্র বাহুলীক দেশে منہدم