ब्>ि=<ee-पछाबूझपeौ +++ মঠ বৌদ্ধ ভিক্ষুদের থাকিবার জন্য নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দিয়াছিলেন। হুবিন্ধের পর বাসুদেব কুযাণ সাম্রাজ্যের অধিকার প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। এই সময় হইতে কুষাণ-সাম্রাজ্যের অবনতি আবস্ত হই যাছিল । অনুমান হয যে, উত্তরাপথের পশ্চিমাংশ এবং আফগানিস্থান কুষাণরাজাদের হস্তচু্যত হই যাছিল। কুষাণাদের ৭৪ বর্ষ ইষ্টতে ৯৮ বৰ্ম পৰ্মান্ত কালের মধ্যে উৎকীর্ণ মথুবায় আবিষ্কৃত শিলালিপিসমূহে বাসুদেবের τΊζ. উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়। বাসুদেব নিশ্চয়ই বৌদ্ধ ছিলেন, তাগর মুদ্রা সমূহে মঙ্গদেবের মূৰ্ত্তি দেপিতে পাওয যায এবং তাঙ্গার পূর্বলপুরুষ বিম কদফিসের ন্যায় তিনি বোধ হয় শৈব ছিলেন। বাস্থদেবের মৃত্যু পা সিংহাসনচ্যুতির কিঞ্চিত কাল পরে কুষাণ সাম্রাজ্য বোপ হয় বহু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত হইয়াছিল। অন্ততঃ চারিটি খণ্ড রাজ্যের বিষয় জানা যায়। যথা ‘তা-হিয়া’ অর্থাৎ ক্ষুদ্র নদীর নিকটস্থ প্রদেশ, কিপিন বা কাপিশ দেশ, কাত্ত-কু অর্থাৎ কাবুল, এবং তিরেন-চ অর্থাৎ ভারতবর্ষের উত্তর পশ্চিমাংশ । এই সকল দেশে ইউ-fচ বংশীয় রাজগণের অধিকার ছিল। বাস্থদেবের উত্তরাধীকারীর মধ্যে এক জন কনিষ্ক নামধাবী (তৃতীয় কনিষ্ক) ও আর একজন বাসুদেব নামধারী রাজা ছিলেন বলিয়া অনুমান করা হয় । যাহা হউক ভারতবর্ষে কুষাণরাজ্য খৃষ্টীয় চতুর্থশতাব্দীতে লুপ্ত হইয়াছিল। নাগবংশীয় রাজারা কুষাণরাজ্যকে ধ্বংস করিয়া নিজেদের রাজ্য প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। এই নাগদের বিষঘ পরবর্তী প্রবন্ধে ললিবার ইচ্ছা রহিল। কুষাণরাজাদেব যুগে ভারতীয সভ্যতার যথেষ্ট উন্নতি তই য়াছিল। এই সময় সংস্কৃত সাহিত্যে কুষাণবাজাদের পৃষ্টপোষকতায সমুদ্ধি লাভ করিয়াছিল। অশ্বঘোষ, নাগার্জন ইত্যাদি বড় বড় সাহিত্য মহারথীরা নিজেদের বচনার দ্বারা সংস্কৃত সাহিত্যের শ্রীবৃদ্ধিসাধন করিয়াছিলেন। আবার ধাৰ্ম্মিক উন্নতির জন্যও এযুগ কম প্রসিদ্ধ নহে । ৬১ খৃষ্টাব্দে কশ্যপ মাতঙ্গ নামক বৌদ্ধ শ্রমণ চীন দেশে বৌদ্ধ ধন্মের প্রবর্ত্তন করিয়াছিলেন । মহাযান নামক বৌদ্ধধৰ্ম্মের শাখা বিশেষেব বিকাশ কুষাণদের রাজ্যকালেই হইয়াছিল। তাহা ছাড শৈব ধৰ্ম্মেরও যথেষ্ট উন্নতি হইযাছিল। কুষাণরাজাদের মধ্যে অনেকেই শিবের ভক্ত ছিলেন। কিন্তু সর্ববাপেক্ষা স্মরণ রাখিবার যোগ্য হইতেছে ইহাই যে, কুষাণরাজাদের সময়েই আৰ্য্য সভ্যতা মধ্য এবং প্রাচ্য এসিয়ায় সুদৃঢ় ভাবে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। Հ օ8Ե
পাতা:শিশু-ভারতী - ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৬১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।