পাতা:শিশু-ভারতী - সপ্তম খণ্ড.djvu/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ہججبجبجبم-I -- fոս পরিচয় দিতে গিয়া সংক্ষেপে “অধ্যাপক” বলিয়। শেষ করিয়াছেন। আর শুধু বাঙ্গলা ভাষা ও সংস্কৃত ভাষাই তিনি জানিতেন, এমনও নহে ; নাগরী বা হিন্দি, ও পারসী ভাষাও তিনি ভালো করিয়া জানিতেন, র্তাহার কাব্যে আমরা সে বিষয়ে জানিতে পারি। নাগরীতে তিনি ছোটখাট কবিতা তাহার কাব্যের মধ্যে ভরিয়া দিয়াছেন, আর পারসী কথা তাহার লেখার অনেক চরণে দেখিতে পাওয়া যায়। পণ্ডিত হইলে কি হইবে ? মানুষ মাত্রেই কষ্টে পড়িতে পারে। রোগ, শোক, দুঃখ, দারিদ্র্য কখন কাহাকে আক্রমণ করে বলা যায় না। ভারতচন্দ্র পণ্ডিত ছিলেন, নান শাস্ত্র পড়িয়াছিলেন, কিন্তু তিনি তো মানুষ ; সুতরাং তাহাকে এ সকল দায়ে পড়িতে হইয়াছিল। তাহার যে পৈতৃক সম্পত্তি ছিল তাহা নষ্ট হইয়া গেল, শেষে বাধ্য হইয়া মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের সভায় আশ্রয় গ্রহণ করিতে হয়। কৃষ্ণচন্দ্র তাহার কবিত্বে এতই সন্তুষ্ট হন যে কবিগুণাকার উপাধি দিয়া তাহাকে সম্মান দেখান। কবিগুণাকর, অর্থাৎ র্যাহাতে কবিদের সমস্ত গুণ আছে। কবিকঙ্কণ বলিলে যেমন মুকুন্দরামকে বুঝাইত, কবিগুণাকর বলিলেও তেমনি লোকে ভারতচন্দ্রকে মনে করিত। কৃষ্ণচন্দ্রের অাদেশে ভারতচন্দ্র “অন্নদামঙ্গল” কাব্য রচনা করেন, একথা কবি বারবার বলিয়া গিয়াছেন,— ভুরসিটে মহাকায়, ভূপতি নরেন্দ্র রায় মুখটি বিখ্যাত দেশে দেশে। ভারত তনয় তার অন্নদামঙ্গল সার কহে কৃষ্ণচন্দ্রের আদেশে ॥ আর শেষ করিবার সময় বলিয়াছেন,— কৃষ্ণচন্দ্র আজ্ঞায় ভারতচন্দ্র গায়ু । হরি হরি বল সবে পালা হৈল সায় ॥


Fi亨* এই সুপণ্ডিত কবি কোন কাব্য লিখিয়া গিয়াছেন ? অন্নদামঙ্গল, বিদ্যাসুন্দর ও মানসিংহ—এই তিনটি কাব্য একেবারে স্বতন্ত্র নহে, পরস্পরে যে যোগ আছে তাহাতে বলা যায় যে একটিই কাব্য, তাহার তিনটি ভাগ। সকল শুভ কার্য্যের গোড়ায় বিঘ্নবিনাশন গণেশের নাম করিতে হয় ; তাহার পরে শিব, সূৰ্য্য, বিষ্ণু, লক্ষ্মী ইত্যাদি দেবদেবীর বন্দনা। তখন কবি প্রশ্ন করিলেন, অন্নপূর্ণ পুণে কেন এ দেশে আসিল । উত্তর, অন্নপূর্ণ জগতে তাতার মহিমা প্রচার করিতে চাঙ্গিলেন বলিয়া। অর্থাৎ পুরাতন মঙ্গলগানের কথা ; আগে যেমন দুর্গা-মঙ্গল, চণ্ডী-মঙ্গল, ধৰ্ম্ম-মঙ্গল চলিত, ইহাও সেই ধরণের। আলিবর্দী খ ছিলেন বাঙ্গলার নবাব ; তিনি উড়িষ্যায় গিয়া সেখানকার নবাব মুর্শিদকুলি খাকে তাড়াইয়া নিজের ভাইপোকে নবাব করেন। বিস্তু এই ভাইপোকে বিনা উপদ্রবে তাতার শত্রুরা থাকিতে দেয় নাই,—বিদ্রোহ করিয়াছিল ; প্রতিশোধ লইবার জন্য আলিবর্দী যে অত্যাচার করেন তাহা ভয়ানক। হিন্দুমুসলমান না মানিয়া দেশের সকলের উপরই অত্যাচার চলিতে লাগিল, ভুবনেশ্বর মন্দির লুটতরাজ হইল ; কৈলাসে পৰ্য্যন্ত হুলস্থল। শিবের ভক্ত নন্দী, তাহার উপর মন্দির রক্ষার ভার ; মন্দিরের উপর এইরূপ অত্যাচার দেখিয়া তিনি চটিয়া আগুন, শূল দিয়া সমস্ত জগৎ ধ্বংস করিয়া ফেলেন আর কি ! তাহাকে বহু কষ্টে থামান হইল, আর স্বপ্নে মারাঠা-রাজ সাতারায় শুনিলেন যে, বাঙ্গলা দেশ আক্রমণ করা ভগবানের অাদেশ । বর্গি সৈন্য আসিয়া বাঙ্গলা দেশ এমন করিয়া লুঠিয়া লইল যে খাজনা দিবার জন্য কিছুই রহিল না। “বর্গি দেশে আসিয়াছে, কি a0JD HAHHAASAASAASAASAASAASAAAS -