পাতা:শিশু-ভারতী - সপ্তম খণ্ড.djvu/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

三 ●*=R-マエに委河| হইয়া সন্ধিবিন্দুতে সংহত হয়, অভ্রের কুঞ্জ পৃষ্ঠ মুকব হইতে ও রঞ্জন-আলো সেইরূপ প্রতিফলিত হয়। ত্ৰাগ (Bragg) এই প্রতিফলিত রঞ্জনআলোর (intensity) প্রখবতা মাপিবাব জন্য খুব সূক্ষ্ম উপায উদ্ভাবন করিযাছেন । সাধারণ গ্যাস তাড়িত-অপৰিচালক, কিন্তু গ্যাসকে রঞ্জন-অালোর দ্বারা আলোকিত কৰিলে, গ্যাসের অণুগুলি পিযোগ তড়িৎযুক্ত তড়িৎরেণু (Electrons) এবং যোগতড়িৎ* (*T*) (positive nucleus) আংশিক এই দুই ভাগে বিশ্লিন্ট হইয়। পড়ে। তখন তড়িৎ সহজেই গাসেব মধ্য দিয়। প্রবাহি ত হইতে পারে । এই প্রথাকে ইংরাজীতে ionization বলে, বাঙ্গলায় আমরা রেণ, বিভাজন বলিতে পারি। বঞ্জনআলোর প্রখরতা বা তেজ যত অধিক হইবে, রেণ বিভাজনও ততই প্রবল হইবে । প্রতিফলিত বঞ্জন-আলোককে এইবপ অল্পচাপে আবদ্ধ বাষ্পচূৰ্ণ আধাবেব মধা দিয়া প্রবেশ করাইলে মধ্যস্ত বাপেৰ বেণুবিভাজন হষ্টতে থাকে ;–স্বতরাং "বেণুবিভাজন' মাপিলেই প্রতিফলিত আলোকে ব তেজ বা প্রখব তা ঠিক পৰিমাণ করা যায়। ব্র্যাগের উল্লিখিত "রঞ্জন-অালোব বর্ণচ্ছত্র মাপক যন্ত্র লাউয়েব যন্ত্র অপেক্ষা খুব অল্প সময়ে ভাল ফল দান কবে । সাধারণ অtলোক যেমন নানা আয়তনের তরঙ্গের সমষ্টি, রঞ্জন-আলোও তেমনি নানা আয়তনের তরঙ্গের সমষ্টি, ব্র্যাগের ‘বর্ণসূত্রের মাপকযন্ত্রে তরঙ্গগুলি ৰিভিন্ন পরিমাণে বিশ্লিষ্ট হইয় পড়ে। লাউয়ের আলোক-লিপি ( Radiogram ) এবং ব্র্যাগের ‘বর্ণচ্ছত্র মাপক যন্ত্রের সাহায্যে স্ফটিকের আভ্যন্তরিক গঠন


Հ8 > 3 নির্ণয় করিবার জন্য প্রভূত চেষ্টা করা যাইতেছে। এই দুই যন্ত্রেই কাজ করিতে খানিক সময়ের প্রয়োজন হয়। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টেরাডা, আলোকচিত্রেব ফলক ব্যবহার না কবিয প্রস্ফারক পরদ। ব্যবহার করেন । লাউ এব উদ্ভাবিত উপায়ে আলোর যেখানে দাগ পড়ে, টেরাডাব উপ্তাবিত প্রণালীতে সেই সমস্ত স্থান হইতে তৎক্ষণাৎ প্রফুরক আলো নিগত হইতে থাকে। সুতরাং শুধু চোখে দেখিয়াই স্ফটিকের গঠন সম্বন্ধে খানিকটা অনুমান করা যাইতে পারে । কিন্তু এই উপায় ততটা সূক্ষ্ম নয় বলিয। ফটিকতত্ত্ববিদগণ এখনও উঠাব সম্যক ব্যবহার করেন না । লাউ এর যুগপ্রবর্তৃক আবিষ্কারের পর হইতে রঞ্জন-আলো সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিক জগতেব সৰ্ববত্র কাজ কবিবার সাড়া পডিযাছে। জাৰ্ম্মেনী এবং ইংল্যাণ্ডের বৈজ্ঞানিকগণ এবিষয়ে সলবাপেক্ষ। বেশী কৃতিত্ব দেখাইয়াছেন। ফ্রান্স, আমেরিকা, জাপান প্রভূতি দেশেও কৰ্ম্মীৰ অভাব নাই । এই সংক্ষিপ্ত বিবরণ হইতেই কাজ কৰ্ম্মের ধারা ক একটা বুঝা যাইবে। প্রধানত: স্ফটিকের মধ্যে পৰমাণবিক সংস্থান, এবং রঞ্জনআলোব তরঙ্গের দৈর্ঘ নির্ণয লইয়াই বৰ্ত্তমানে আলোচনা হইতেছে । পরীক্ষা দ্বার। প্রতিপন্ন হইয়াছে যে স্ফটিকতত্ত্ব ঠিক Schonfleis, Bravais, Fodorov z şfs মনীষিগণ স্ফটিকের গঠন সম্বন্ধে যে সমস্ত অনুমান কৰিয়াছিলেন সে সমস্ত প্রায়ই ঠিক । এখন বোধ হয় তোমরা রঞ্জন-অttলt বা X-ray সম্বন্ধে অনেক কথাই শিখিতে পারিলে। রঞ্জন ১৮৯৫ খৃষ্টাব্দে দৈবক্রমে এই আলোর অবিস্কার করিয়া জগতের যে কল্যাণ করিয়া গিয়াছেন, তাহ। বর্ণনা