পাতা:শিশু-ভারতী - সপ্তম খণ্ড.djvu/২৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* --- =ि*<s-पछान्झडी ধাপ কোথাও অপেক্ষাকৃত প্রশস্ত, কোথাও অল্প পরিসর, কিন্তু আছে সৰ্ব্বত্রই। একে তোমরা মহাদেশের ভিত বলতে পার। এ যেন মহাদেশেরই জলে ঢাকা অংশ। অনেক স্থলেই এর সীমারেখা সমুদ্রতটের সীমারেখার অমুগামী। অর্থাং বেলাভূমি যেখানে সোজা, এই তাকের সীমারেখাও সোজা। বেলাভূমিতে যেখানে বাক আছে, তাকের সীমারেখাতেও সেখানে সেই রকম বাক আছে। হয়ত তীত গে এইখানটায় মোটে জল ছিল না, তাকের বর্তমান সীমান্তরেখা পৰ্য্যন্ত মহাদেশ বিস্তুত ছিল। সাগর তটের এই তাকের উপর কখন কখন গভীর খদ বা ফাটল দেখতে পাওয়া যায়। সেগুলো, বোধ হয়, পুরাকালের নদীগর্ভের ধ্বংসাপশেল। ইউরোপের রাইন, আফ্রিকার কঙ্গো, ও আমেরিকার হডসন ইত্যাদি নর্দার মোছনাতে সমুদের তাকের উপর এই রকম দীর্ঘ, গউর, অল্পপলিসার পদ দেখতে পাওয়া যায়। বঙ্গোপসাগরের যে কল্পিত চিত্রট পরে দিয়েছি তাতেও এই রকম এক পদ দেপতে পাবে, তবে একটু নীচের দিকে । উপরেল অংশট পলিমাটি পড়ে পড়ে বুজে গেছে । মহাদেশের ভিত থাকে বলছি, সেটা ঈমং গ৬ানে জৰ্মা। কিন্তু তার পরে সমুদ্রতল খুব দ্রুত নেমে গেছে একশে চতে হাজার বাম পৰ্য্যস্ত। এই খাড়া মতন অংশটাকে আগে Coutinentalslope বা মহাদেশের পাড় বলত। এখন পণ্ডিcoal on for to shelf 's slope of: একত্র এক নূতন নাম দিয়াছেন Epicontinental বা উপমহাদেশীয় Zone। হাজার বাম পৰ্য্যন্ত গঙার এই Zone পৃথিবীর মানচিত্রে মহাদেশের কিনার। বরাপর বেশ স্পষ্ট করে দেখান রয়েছে। এই পাণ্ড যেখানে শেষ হয়েছে সেখান থেকে স্বরু হল যথার্থ সমুদ্র গর্ভ। এখন, এই যথার্থ সমুদ্র গর্ভ সম্বন্ধে তোমাদের একটা স্পষ্ট ধারণা থাকা চাই। মানচিত্ৰখানা যত্ন করে দেখলেই বুঝতে পারবে যে এখানেও সমুদ্রতল সমভূমি নয়, বন্ধুর প্রদেশ। কিন্তু এর বন্ধুরতা ও ক্ষিতিমগুলের বন্ধুরতায় প্রভেদও যথেষ্ট। আজ যদি আটলান্টিক মহাসাগর শুকিয়ে যায়, আর সমুদ্রতলে রেলের --- --- লাইন পাততে হয় ত খুব বেশী স্থপতি বিষ্কার প্রয়োজন হবে না। পুল বাধা, পাহাড় কাটা, সুড়ঙ্গ করা, যা নইলে ডাঙ্গার উপরে পাঁচশো মাইল রেলও পাতা যায় না, তার খুব কম দরকার হবে সমূদ্রতলে রেলপথ করতে। পাহাড় পর্বত, অধিত্যক, উপতাকা, সবই সেথায় আছে। কিন্তু তারা অধিকাংশ গোলগাল মোলায়েম রকমের। কেন, তা তোমরা সহজেই অনুমান করতে পার। আমাদের ডাঙ্গার উপর যে পৰ্ব্বত, মালভূমি, উপ ত্যকা আছে, সে গুলো জল ঝড় বৃষ্টির সঙ্গে ক্রমাগত যুদ্ধ করছে, আর সেই যুদ্ধের ফলে তাদের অঙ্গ ক্ষত বিক্ষত হচ্ছে, ক্ষয়ে যাচ্ছে। সেই কারণে আমাদের পাহাড় পৰ্ব্বত দুৰ্গম, দরী, উপতাকা গভীর ও বন্ধুর। সাগর গর্ডে ঝড় বৃষ্টির সঙ্গে যুদ্ধ নেই, বরং সামুদিক স্রোতের দ্বারা লাচিত পালি কাদ। মাটি পড়ে পড়ে ছোট খাটো খান গোন্দল ভরে যায় । ৩াষ্ট জলের মধ্যের পাহাড় পর্পত বেশীর ভাগ গোলগাল গ৬নের। তবে সব নিয়মেরই ব্যতিক্রম আছে। পাখির সমুদ্রে গাড়া পাহাড় গভীর উপতাকা যে একেবারে নেই, ५०l७ मग | তারপর, কি জান, ভূগর্ভের আগুনের ঠেলা ডাঙ্গাতেও যেমন আছে, সমুদেও তেমনই আছে। তাই সাগর গর্ভে আগ্নেয়গিরির অপ্রতুল নেই, আগ্নেয় ক্রিয়া জনিত গভীর ফাটলেরও অভাব নেই। এই আগ্নেয় পৰ্ব্বত গুলোর কোনটার বা চূড়া জলের বাহিরে জেগে রয়েছে, কোনটা বা সম্পূর্ণ জলমগ্ন। সমুদ্রে অজস্র দ্বীপ আছে, এ কথা তোমরা ভূগোলে পড়েছ। এই দ্বীপগুলিকে সাধারণতঃ তিন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। কতকগুলি মহাদেশের অবশিষ্ট খগুমাত্র, অর্থাৎ আগে মহাদেশের সামিল ছিল, এখন আগ্নেয় ক্রিয়ার ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কতকগুলি আগ্নেয় দ্বীপ অর্থাং ভূগর্ভের আগুনের ধাক্কায় সমুদ্রতল হতে উঠে পড়েছে। আবার কতকগুলি প্রবালদ্বীপ, অপরিমেয় প্রবাল কীটের পঞ্জর দিয়ে গঠিত। পণ্ডিতেরা যে কোনও দ্বীপের মাটি পাথর পরীক্ষা করলেই বুঝতে পারেন কোন দ্বীপ কোন শ্রেণীভুক্ত । ggg0 AAASAASAASSAAAAAAS AAASASAASAASAASAASAASAAAS -: