পাতা:শিশু-ভারতী - সপ্তম খণ্ড.djvu/৩১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y 4 ব্যায়ামবিধি আমার আগেকার প্রবন্ধগুলিতে তোমরা বায়ামবিধির মূল তথ্যের কথা কিছু পড়েছ । চলতি পায়ামপারাগুলির বিষয়েও তাতে কিছু আলোচনা ছিল। এখন আমরা কতকটা ব্যাপকভাবে আলোচনা করব। ব্যায়ামধারাগুলিকে মোটামুটি দু'ভাগে বিভক্ত করা যায়। প্রথম, আন্তরিক, দ্বিতীয় বাহিক। বাহ্যিক ব্যায়ামেরও দুটি ভাগ আছে,-সাধারণ ও আক্রমণক । - যাকে অস্তরিক ব্যায়াম বলা যায় সে গুলির লক্ষ্য দেহাভ্যস্তরের নানা প্রকরণগুলিকে সুস্থ ও কৰ্ম্মঠ করে রাখা, কিছু কিছু রোগ নিবারণ করা, এবং সে সকল রোগ হলে আরোগ্য করা। কাজেই বাহিক বায়ামের চেয়েও এ সকল ব্যায়ামের মূল্য অত্যন্ত বেশী। বাহিক ব্যায়াম বালা ও যৌবনকাল সুলভ, আন্তরিক ব্যায়াম দূরদর্শী স্বাস্থ্যাভিলাষীদের মন আকর্ষণ করে । তোমরা স্বইডিস ব্যায়ামের সঙ্গে পরিচিত। মাত্র অষ্টাদশ শতকে জারমানিতে এই ধারার బ్రొ.


উৎপত্তি হয়েছিল কিন্তু তার উন্নতি ও প্রসার হয়েছিল আরো অনেক বৎসর পরে সুইডেনবাসী এক ব্যক্তির ছাতে। কিন্তু এ ব্যায়।মধারা তাদের কাছারও নুতন আবিষ্কার নয়। স্মরণাতীত যুগ থেকে ভারত, চীন, মিশর ও পারস্ত দেশে এক ধরণের অত্যন্ত উন্নত ব্যায়ামধারা বর্তমান ছিল। সুইডিস বায়ামধারার জারমান প্ৰবৰ্ত্তক তারই কিছু কিছু ভেঙ্গেচুরে ওই ধারার স্বষ্টি করেছিলেন, কিন্তু পুরানো ধারার যা গুণ তার কিছু অংশ ও এ ধারায় নেই। এর থেকেই আবার চিকিৎসাবিজ্ঞানসম্বন্ধীয় ব্যায়াম তৈরী হয়েছে। আধুনিক এই ব্যায়ামে কঙ্কালের খুত বা রোগনিবারণ করবার যা ধারা তৈরী হয়েছে তা সত্যই অপূৰ্ব্ব যথা সময়ে আমরা সে ধারা সম্বন্ধেও আলোচনা করব । প্রাচীন যে ব্যায়ামের কথা বল্লাম তার সম্যক উন্নতি হয়েছে এই ভারতবর্ষে ; এবং এইগুলি ভারতীয় সভ্যতার অত্বাগ উন্নতির বিশেষ চিহ্ন। এ রকম জাতীয় বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধীয় ব্যায়াম আর কোন