পাতা:শিশু-ভারতী - সপ্তম খণ্ড.djvu/৩৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- তাহাতেই বায় করিবার বাবস্থা করিয়া দেন। ঐ আশ্রম তাহার নামানুসারে শীলভদ্র সজারাম নামে অভিহিত হইত। শীলভদ্র ক্রমে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হন । সে সময়ে নালন্দার নাম চারিদিকে বিস্তুত হইয়া পড়িয়াছিল। যুয়ানচুয়াং নামে একজন চীন দেশীয় ভ্রমণকারী বৌদ্ধ ধৰ্ম্মশাস্ত্র জানিবার জন্ত নালন্দায় আসিয়া শীলভদ্রের নিকট অধ্যয়ন করিয়াছিলেন। তিনি শীলভদ্র সম্বন্ধে অনেক কথা লিপিয়৷ গিয়াছেন। বিদেশীর মুখে লাঙ্গালার কথা তোমরা স্বয়ানচয়াংএর কথা শুনিয়াছ । তিনি চীন দেশের লোক কাজেই একজন বিদেশী। সেই বিশেী আমাদের বাঙ্গলার কথা কি বলিয়াছেন, এক্ষণে সেই কথাই তোমাদিগকে শুনাইব । যুয়ানচুয়াং যখন এদেশে আসিয়াছিলেন, তখন বঙ্গদেশের উত্তরভাগে পৌণ্ড বৰ্দ্ধন, দক্ষিণে সমতট এবং পশ্চিমে তামলিপ্ত ও কর্ণসুবর্ণ এই চারিট প্রসিদ্ধ রাজা ছিল । তিনি এই সকল রাজ্য পরিভ্রমণ করিয়াছিলেন। পৌণ্ডবৰ্দ্ধন, তাম্রলিপ্ত ও কর্ণসুবর্ণের ঐ নামেই রাজধানী ছিল এবং তাহদের স্থান এখনও পর্যাস্ত বিদ্যমান আছে । বগুড়া জেলার মহাস্থান মেদিনীপুরের তমলুক এবং মুর্শিদাবাদের রাঙ্গামাটি পৌণ্ড,পৰ্দ্ধন, তাম্রলিপ্ত ও কর্ণস্ববর্ণের স্থান বলিয় নিদিষ্ট হইয়া থাকে। কিন্তু সমতটের রাজধানী কোথায় ছিল, তাগ স্থির করা যায় না। সমুদ্রতীরবর্তী বৰ্ত্তমান সুন্দরবনে অনেক নগরাদির চিহ্ন ছিল। এবং এখনও কিছু কিছু দেখিতে পাওয়া যায়। উহার মধ্যে কোন স্থানে সমতটের রাজধানী ছিল কিনা বলা যায় না । ممممممم--م۔ مہتمم مماج--م۔ ? چنا٭ SDLSYBDD MTKS AAAAA AAAASASASS +→→→→来 যুয়ানচুয়াং বলিয়াছেন যে পৌণ্ডবৰ্দ্ধন নগরে অনেক অধিবাসী ছিল। সেখানকার অনেক পুষ্করিণী ও গৃহাদির কথাও তিনি উল্লেখ করিয়াছেন। ঐ রাজ্যের ভূমি উর্বর ছিল। সেখানে প্রচুর পরিমাণে শস্ত উৎপন্ন হইত। য়ুয়ানচয়াং এখানকার পনস বা কাঠাল ফলের কথাও বলিয়াছেন। পৌণ্ডবৰ্দ্ধনের জলবায়ু ও ভাল ছিল। অধিবাসীর বিদার আদর করিত। এখানে লিশট বৌদ্ধ সজদারাম, কয়েকশত দেবমন্দির এবং অশোক বাজার স্তপ ছিল বলিয়। তিনি উল্লেখ করিয়াছেন। অনেক দিগম্বর জৈন ও পৌণ্ডপদ্ধনে দেখা যাইত। সমতট সমুদ্রতটেষ্ট অবস্থিত ছিল। এখাকার ভূমিতে চাষ দেওয়ার জন্য প্রচুর পরিমাণে শস্য ও ফল ফুল জন্মিত। সমতটের জলবায়ু শীতল এবং অধিবাসীরা পরিশ্রমী ও সিদ্ধান ছিল। এখানে অনেক হিন্দু ও বৌদ্ধ পণ্ডিত বাস করিতেন। সমতটের ত্ৰিশটী সঙ্ঘারাম, কয়েক শত দেব-মন্দির ও অশোক রাজার স্কৃপের কথাও যুয়ানচুয়াং বলিয়াছেন। সেঙ্গোচি নামে আর এক জন চীন দেশীয় ভ্রমণকারী সমতটে আসিয়াছিলেন সে সময়ে তথায় রাজভট নামে একজন রাজা ছিলেন। ইচিং নামে চীনদেশীয় ভ্রমণকারী হরিকেল বা পূৰ্ব্ববঙ্গে এক বৎসর অবস্থান করিয়াছিলেন। তামলিপ্ত ও সমুদ্র-তটে অবস্থিত ছিল। এখানকার ভূমিও উর্বরা এবং তাহাতে চাষ দেওয়ার জন্য অনেক ফল-ফুল উৎপন্ন হইত। তাম্রলিপ্তের জলবায়ু কিছু উষ্ণ ছিল। অধিবাসীরা পরিশ্রমী ও সাহসী । এখানে হিন্দু ও বৌদ্ধ দুই সম্প্রদায়েরই লোক ছিল। দশটা সজারাম, পঞ্চাশট দেবমন্দির এবং অশোক রাজার স্তুপেরও উল্লেখ আছে।