পাতা:শিশু-ভারতী - সপ্তম খণ্ড.djvu/৩৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বহুদূর চলিয়া গেলেন। এখনও বৃন্দাৰনের পাণ্ডার ৰাঙ্গলায় রচিত এই দুইটি চরণ আবৃত্তি করিয়া *び卒ー “ধষ্ঠ ধন্ত মহাভক্ত মাধবেন্দ্র পুরী। যার জন্য গোপীনাথ ক্ষীর করিলেন চুরি"। চুরির এই অপ্যাতি উক্ত বিগ্রহের এখনও যায় নাই—এখনও রেমুনার গোপীনাথ “ক্ষীর-চোর গোপীনাথ” নামে পরিচিত। পুরী হইতে চন্দন লইয়া মাধবেন্দ্র বৃন্দাবনে ফিরিয়া আসিলেন। দাক্ষিণাত্যে শ্ৰীপৰ্ব্বতে মাধবেন্দ্রপুরীর সঙ্গে নিত্যানন্দের দেগা হইয়াছিল। মাধবেন্দ্রের ভক্তি অসাধারণ–আকাশে মেঘোদয় ছক্টলেট তিনি কৃষ্ণভ্ৰমে মুগ্ধ দৃষ্টিতে চাহিয। পাকিতেন এবং মূচ্ছিত ,

  • ફ્રેમ! નફિઝન I

“মাধবেন্দ্র পুরার কথা অকথ্য কপণ। শেখদ ৭-৭ মাত্র হয় অচেতন ।" এই মাধবেন্দ্র পুরীর রচিত শ্লোকগুলি চৈতন্য আগ্ৰহ সহকারে আবুত্তি করিতেন। তন্মধ্যে একটি শ্লোক “অয়ি দীন-দয়াপ্ল-নাথ হে মথুরানাথ কদাবলোক্যসে। হৃদয়ং ত্বদালোককাতরং দয়িত ভ্ৰমাতি কিং করোম্যহম”—চৈতন্তের অতি প্রিয় ছিল ; তিনি বলিতেন, “এই শ্লোকচন্দ্র জগং আলোকিত করিতেছে, খষিতে ঘষিতে যেরূপ চন্দনের গন্ধ বাড়ে, এই শ্লোক পুন: পুন: আরক্তি ও আলোচনা করিলে ইহার উৎকর্ষ তেমনি উপলব্ধ হয়। রত্নগণমধ্যে শোভে কৌস্তুভমণি। লস্ক'ৰামধ্যে এই শ্লোক গণি।” (४s, s, भ१I 8र्थ *: ) এই শ্লোক পড়িতে পড়িতে তিনি কতবার অজ্ঞান হইয়া পড়িয়াছেন, এবং মৃষ্ঠাভঙ্গের পর সাশ্রনেত্রে গদগদকণ্ঠে শুধু—“অয়ি দীন, অগ্নি লিভ্যানন্দ ও মাথৰেন্দ্র পুত্রী তীর্থগুলি পড়িয়া আছে—সিংহাসন শূন্ত, কোথাও । ঠাকুরকে পাইলাম না। "তখন নিত্যানন্দ শুনিলেন কেছ বলিতেছেন, “তুমি গৌড়ে ফিরিয়া যাও, সেইখানে কৃষ্ণের দর্শন পাইবে, নবদ্বীপে তাহার লীলা দেখিৰে ।" এই বাণী কোন ছন্দ্রের অলক্ষ্য শক্তিতে তাছাকে নিমাই পণ্ডিতের বাড়ী টানিয়া আনিয়াছিল। - মাধবেন্দ্রপুরাই ভক্তিরাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা—ইহার উপাধি ছিল "ভক্তিচন্দ্রোদয়” । তিনি মহাপ্রভুর জন্মের কিছু পূৰ্ব্বে বা পরে স্বর্গগত হন, অম্বুমান ১৪•• পৃষ্টাব্দ ৮ইতে ১৪৮৩ খৃষ্টান্ধ পর্য্যস্ত ইনি জীবিত ছিলেন-ইছার শিষ্যগণের মধ্যে অদ্বৈতাচাৰ্য্য নিত্যানন্দ, কেশবভারতী ও ঈশ্বরপুরী প্রধান। এই বৈষ্ণৰচক্রষ্ট শেষে চৈতন্তকে আশ্ৰধ করিয়াছিল। অদ্বৈতাচাৰ্য্য শ্ৰীহট্টের অন্তর্গত লাউর নগরে ১৪৩৪ খৃষ্টাব্দে ইনি জন্ম গ্রহণ করেন। ইনি চৈতন্য হইতে ৫২ বৎসরের বড় ছিলেন। রাজা গণেশের প্রধান মন্ত্রী নৃসিংহ নড়িয়াল ইহার পূর্বপুরুষ ছিলেন। শাস্তিপুরের শাস্ত্যাচার্য নামক এক বিখ্যাত পণ্ডিতের নিকট পাঠ সম্পন্ন করিয়া ইনি শান্তিপুরেই উপনিবিষ্ট হন। ইনি যেরূপ পণ্ডিত ছিলেন তেমনি ধনশালী হইয়াছিলেন। শান্তিপুরে ইছার রাজপ্রাসাদের দ্যায় অট্টালিকার নাম ছিল উপকারিকা’। ইছার দুই স্ত্রী সীতা ও শ্ৰী বৈষ্ণব সমাজে সুবিদিতা। সন্ন্যাসগ্রহণের পর চৈতষ্ঠ একবার শাস্তিপুরে ইহার বাড়ীতে যাইয়। উপকারিকায় দশ দিন আর্থিত্য স্বীকার করিয়াছিলেন, যখন তিনি শান্তিপুর ছাড়িয়া চলিয়া যান, তখন বৃদ্ধ অদ্বৈতাচাৰ্য্য বালকের ন্যায় চীৎকার করিয়া কাদিয়াছিলেন। চৈতন্ত ৰলিয়াছিলেন, “তুমি নিজেই যদি এইরূপ ব্যাকুল হও, তবে আমার বৃদ্ধ মাতাকে কে প্রবোধ দিবে ?” অদ্বৈতের টোলে দীন বলিতে বলিতে আর বলিতে পারেন নাই, পুনরায় সংজ্ঞাছারা ইয়াছেন। নিত্যানন্দ ৰহু তীর্থ ভ্রমণের পর মাধবেন্দ্রের ভক্তি দর্শনে বলিয়াছিলেন,—“যত তীর্থ দৰ্শন করিয়াছি তাহার সৰ্ব্বপ্রধান এই মাধবেন্দ্র-পুরীসঙ্গমস্থান, তুমি বঙ্গদেশ ছাড়াও ভারতের নানা স্থান হইতে ছাত্র পড়িতে আলিত। ‘অদ্বৈতাচাৰ্য্য' তাহার উপাধি, নাম ছিল—কমলাকর ভট্টাচাৰ্য্য। শাস্তিপুরে অদ্বৈতের বংশধরেরা এখনও বাস করিতেছেন। সৰ্ব্বতীর্থের সার, যেহেতু তোমার মধ্যে যেরূপ আর কোথাও এরূপ কৃষ্ণভক্তির বিকাশ দেখিতে পাই না। ১৪৩৪ খৃঃ অঃ ইহার জন্ম এবং ইহার মৃত্যু ১৭৮৪ খৃঃ অ: ঘটিয়াছিল ৰলিয়া প্রকাশ। 壕> ج: R۹ جسامام جمہمممممممم۔ F. 9–34