পাতা:শিশু-ভারতী - সপ্তম খণ্ড.djvu/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

** কোর-আন মুক্ত হইতে পারিলেই দেৰহের সীমায় উপনীত হইতে পারে । ক্রমবিবৰ্ত্তনের উদেখও তাছাই । মাহ্য যাহাতে তাঙ্গার পশু ২কে পরিহার করিয়া দেবত্বে উপনীত হইতে পারে তজ্জন্তই স্রষ্টার এই কোরবাণীর বিধান। - কিন্তু আমাদের অন্ত:করণ হজরং ইব্রাহিমের স্থায় অতটা সবল মচে । সেইজন্ত আমাদের প্রতি পুল কোরবাণীর আদেশ না হইয় পশু কোরবাণীর আদেশ হইয়াছে। এই নিমিত্ত কোরবাণীর পশু এমন হওয়| আবগুক যেন তষ্ঠাতে কোরবাণদাতার অগুরের ঐকান্তিক স্নেহ-মমতা জন্মে। এই জষ্ঠ কোরবাণীর পশু নিখুঁত হওয়া আবগুক ; এবং পূৰ্ব্ব ইষ্টতেই তাইকে অপত্য-স্নেহে লালন-পালন করিতে হয়, যেন তাহতে পুলধাংসল জন্মে। এই প্রিয় বস্তুকে যিনি তাকাতরে বিসৰ্জ্জন দিতে পারেন, তিনিই বস্ববিক নিঃস্বাগ, তিনিই মহান। ধিনি স্বার্থহীন তিনিই বিশ্বপ্রেমিক, তিনিই মানবপ্ৰেষ্ঠ । সুতরাং কেরাণীর বিধান, মাচুৰ্যকে দেবত্বে উপনীত করিবার অন্ততম সোপান । হজের অঙ্গ তম বিধান এহরাম'। এছ রাম শব্দের অর্থ নিষেধ। পবিত্র কবি গুহের চতুষ্পাশ্ববৰ্ত্তী কতিপয় মাইল পৰ্য্যস্ত নিদিষ্ট সীমার মধ্যবর্তী স্থানকে বৃহত্তর হরম এবং কবীর চতুষ্পাশ্ববৰ্ত্তী প্রাচীরের মধ্যবওঁ স্থানকে ক্ষুদ্র হরম' বলা হয়। হরম শব্দের অর্থ নিধিদ্ধ স্থান। হজরত মোহাম্মদের পূৰ্ব্বে আরববাসিগণ অত্যন্ত উচ্ছম্বল ও দ্রবৃত্ত ছিল। ঝগড়া বিবাদ, মারামরি, কাটাকাটি প্রভৃতি তাহদের নিত্য নৈমিত্তিক কষ্মের মধ্যে পরিগণিত হইয়াছিল। এই উচ্চ,স্বলতা দূরীকরণোদেখে কাবর চতুষ্পাশ্ববর্তী এই নিদ্ধিঃ স্থানকে নিষিদ্ধ স্থান' বলিয়া নির্দেশ করা হইয়াছে। এই স্থানে ১০ই জুলছজ পর্যাপ্ত হজের নির্দিষ্ট কয়দিন হাজীদিগকে এক রাম ব্রত পালন কবিতে হয়। এই ত্ৰত উদ্যাপনের সময় সকল প্রকার উচ্চ স্বলতা, বর্ধরত, নৃশংসতা এমন কি পরম্পরে হিংলা পৰ্য্যন্ত পোষণ করা নিষেধ। মাইল দূরের কথা, কোনরূপ প্রাণিহত্যা এমন কি মশা, মাছি, ছারপোকা পৰ্য্যস্ত বধ করা, নিজ শরীরের লোম নখাদি কাটা, কোণ প্রকার বিলাসদ্রব্য ব্যবহার করা সৰ্ব্বতোভাবে নিষিদ্ধ। এই কঠোর বিধানের ফলে বর্বর উচ্ছ স্থল আরব জাতি বংশপরম্পরাগত হিংসা, বিদ্বেষ ভুলিয়। ++++++++++++ - ২৭৩৯ উদার ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হইয়া এক বিরাট সভ্য জাতিতে পরিণত হইয়াছিল। আল্লাহ কোআনে বলিয়াছেন, "তোমরা জলন্ত অগ্নির ধারে ছিলে আমরা তোমাদিগকে শাস্তির কোলে আনয়ন করিয়াছি।” হজরং অদিম পৃথিবীর যুগকে পণ্ডিতগণ দুইভাগে বিভক্ত করিয়াছেন। যে সময় হষ্টতে জ্ঞানের প্রসার ও লেখাপড়ার বিস্তাব হইয়াছে, এবং জাতির বিবরণ অল্প বিস্তর লিপিবদ্ধ হইতে আরম্ভ হইয়াছে সেই সময় হইতে পরবর্তী কালকে ঐতিহাসিক যুগ বলা হয়। ইহার পূর্বের অন্ধকার যুগঞ্চে প্রাগৈতিহাসিক যুগ বলা হয় । ইতিহাসের কোন প্রত্যক্ষ উপাদান বর্তমান না থাকিলেও এই অন্ধকার যুগের অস্তিত্ব অস্বীকার করিলে চলে না। প্রত্নতত্ববিদ্যার সাহায্যে পণ্ডিতগণ যুগের এই অন্ধকার অজ্ঞাত প্রদেশে অভিযান করিতে আরম্ভ করিয়াছেন এবং অনেক দূর অগ্রসরও হইয়াছেন। আশা করা যায় অচিরকাল মধ্যে অভিযানকবিগণ দৃশুমান অন্ধকারের যবনিক উদঘাটন করিয়া ইতিহাসের বাস্তব ক্ষেত্রে উপনীত হইতে পরিবেন। তখন সত্যই যুগের পার্থক্য মুছিয়া যাইবে। যদিও আমাদের সে সময় এখনও আসে নাই তথাপি স্বল্প জ্ঞানে আমরা দেখি মানবের উৎপত্তির একটা নির্দিষ্ট কাল ছিল। একই সময় পৃথিবীতে এতগুলি মানবের উদ্ভব সম্ভব হয় নাই। সুতরাং ইহা অবিলম্বাপিতরুপে সত্য যে, মানব জাতির একজন আদি পিতা ছিলেন। সেই আদি পিতা হইতেই বিশ্বের সমগ্র মানব জাতির উদ্ভব হইয়াছে। কোর্আন ও বাইবেল হইতেই আমরা এই আনিমানবের সম্বন্ধে কতক ইঙ্গিত পাইতে পারি। কো কৃত্মা নে র টীকাকারগণ ও আ রব ভৌগোলিকগণ সিংহল দ্বীপকে আদি মানবের উৎপত্তিস্থান বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন। এখানে **as wisdo otos (Adam's Peak) প্রভৃতি তাছার অনেক কীৰ্ত্তিচিহ্ন বিদ্যমান রছিয়াছে। তাহার বলেন, সিংহল হইতে তিনি পত্নীহারা ইয়া উল্লাঞ্জের স্কায় দুইশতাধিক বৎসর নানা স্থানে ভ্রমণ -- - - - - |