পাতা:শিশু-ভারতী - সপ্তম খণ্ড.djvu/৩৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিশু-ভারতী দিল । প্রথম ধরণী:বক্ষ কলঙ্কিত শুইল । ট্রদেশ ত সিদ্ধ হইল। কিন্তু তাহার আস্তর দুরু দুরু করিয়া কাপিতে লাগিল। মনের কোন গোপন কোণ হইতে যেন ভয়ের অসুত অক্ষৌহিণী অবিশ্বাস্ত গতিতে তাতার অন্তরায়ার উপর দিয়া সদাপে গমন করতে লাগিল। মনের ভিত্তি কাপিয়া উঠিল। তাই কিসে ভাইয়ের দেহ পিতার চক্ষর অন্তরাল করিবে সে তাহারই উপায় চিন্তা করিতে লাগিল । পালক্ৰে স্বয়ং প্রকৃতি শিক্ষয়িত্রীর আসনে বসিয়া তাহাকে শিক্ষা দিতে লাগিল। হঠাৎ একটা ক{ক তার একটী কাককে নিহত করিয়া স্বীয় চঞ্চুপুট দ্বারা মৃত্তিকায় গৰ্ত্ত থনন করিয়। তাহতে নিহত ক! কটার দেহ রাপিয়া মৃত্তিক দ্বার। আর৩ করিল। প্রকৃতির শিক্ষায় কাবিলের জ্ঞানচক্ষু উন্মালিত হইল । সে সত্বর মৃত্তিক-গর্ভে একটী গৰ্ত্ত থ•ন করিয়া লতার নিহত দেহ তন্মধ্যে প্রেথিত করিল। ছজ সমাপণাস্তে হজরত আদম ও বিবি হাওয়া গুহে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলেন। কিন্তু হাবিলের কোন সন্ধান না পাইয়া অত্যন্ত চিত্তাকুল হইলেন। একদিন স্বৰ্গীয় দূত জিত্রিলের নিকট শুনিলেন কাবিল কর্তৃক হাবিল নিহত হইয়াছে। তখন তিনি পুত্ৰশোকে উন্মত্তের ছায় পুলের মৃতদেহের উদ্দেশে ছুটিলেন। সুতবর জিত্রিলের নিকট কবরের সন্ধান পাইয়া উছা খনন করত: মৃতদেহের উদ্ধার করিলেন। মাতাপিত পুত্ৰশোকে অদীর চইলেন। সমস্ত প্রকৃতি আজ তাহীদের সস্তপ্ত হৃদয়ের গভীর শোকে স্তব্ধ হইল । পুথিবীতে শোকের বহু বহিয়া গেল। অত:পর তাহারা আন্নার আদেশে মৃতদেহ উত্তমরূপে ধৌত করিয়া সযত্নে কবরস্থ করলেন । মেছিলমানগণ এখনও এই প্রথার অতুকরণে মৃতদেহ কবরস্থ করিয়া থাকেন । হজরত আদম ও বিবি চাওয়ার বহু সস্তান সস্ততি জন্মগ্ৰহণ করিল। এই বংশ বুদ্ধির জন্ত স্বভাবজ ফলমূলের দ্বার। তাহদের সকলের ভরণ-পোষণ চলিল না। সুতরাং বাধ্য ইয়। তাছার ফসল উৎপাদনের চেষ্টা করিতে লাগিলেন। এইরূপে ক্রমে কুশিকার্য্যের উদ্বুল হইল। এবং তদুপযোগী যন্ত্রপাতিরও উদ্ভব হইতে আরম্ভ হইল। প্রথমত: তাহারা নিজ হাতেই সমস্ত কাৰ্য্য সম্পাদন করিতেন। তারপর বনের পশু বশীভূত করিয়া তস্থার এই সমস্ত কাৰ্য্য সম্পন্ন করিতে লাগিলেন। হিংস্র পশ্বাদির কবল হইতে এবং রৌদ্রবৃষ্টির হাত হইতে রক্ষণ পাওয়ার জন্য এবং উৎপন্ন শস্ত সঞ্চিত করিয়া রাখার জন্য গৃহের আবশুকতার উপলব্ধি হইল। বন জঙ্গল কাটিয়া স্থান পরিস্কার করিয়া খুটর বেড়া দিয়া তাহারা মাটী পাথর প্রভৃতি দ্বারা দেওয়াল গাথিয় গৃহ নিৰ্ম্মাণ করিতে লাগিলেন। এই সকল কাৰ্য্যের জন্ত তাহাদিগকে পাথরের \ অস্ত্রশস্ত্ৰ তৈয়ার করিয়া ব্যবহার করিতে হইত। ' বনের কঁচা ফলমূল ভক্ষণ করিতে করিতে ক্রমে রন্ধনের উপায় উপ্তালন করিলেন । পাথরে পাথরে ঘর্ষণদ্বারা অগ্নি উৎপাদন কলিয়া ত দুরা শত নিবারণ ও রন্ধন কাৰ্য্য সম্পাদন করিতে লাগিলেন। এপনকার মত তখন ঔষধপত্র ও ডাক্তার কবিরাজ ছিল না। সুতরাং বোগেশোকে বিপদাপদের সময় তাহার একমাত্র আলার উপরই নির্ভর করিয়া উইlরই সাহায্য ভিক্ষা করিতেন । এইরূপে বহুদিন মেসোপটেমিয়ার উপর ক্ষেত্রে বাস করিয়া পরিণত বয়সে হজরৎ আদম মৃত্যুশয্যায় শাধিত হইলেন। তখন পুত্ৰগণকে শয্যাপাশ্বে ডাকিয়া বলিতে লাগিলেন, “বৎসগণ, তোমরা জান, আমরা পূৰ্ব্বে পরমানলে ফেরদৌছে (Ferdouse) ছিলাম। কিন্তু বুদ্ধিপ্রমে শয়তানের প্ররোচনায় আল্লার আদেশ অমান্ত করিয়া নিষিদ্ধ বুক্ষের ফল ভক্ষণ করিয়াছিলাম , তজ্জন্ত তথা হইতে বিতাড়িত হইয়া বহু ক্লেশ ভোগ করিয়াছি। তোমরা আমাদের সেই পূৰ্ব্বকথা স্মরণ রাখিও। কথনও আল্লার আদেশ অমান্ত করিও না । আমি যাহা বলিতেছি ও যাহা তোমাদিগকে শিক্ষণ দিয়াছি তাহাঁই আল্লার আদেশ। তোমরা কখনই ইহার ব্যতিক্রম করিও না। তোমরা একমাত্র আল্লার উপাসনা করিবে ; সম্পদে-বিপদে তাহার উপর নির্ভর করিবে ; তাহারই সাহায্য ভিক্ষা করিবে। হজত্ৰত সম্পাদন করিবে এবং পরস্পরে সত্ত্বাবে থাকিবে ।" এই বলিতে বলিতে সকলকে শোকসাগরে ভাসাইয়া পৃথিবীর অতিথিশালা ত্যাগ করিয়া আদমের আত্মা স্বর্গের স্থায়ী ভবনে গমন করিল। পুলগণ পিতৃ প্ৰদৰ্শিত রীতি অনুসারে २१88