পাতা:শুভদা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

GG እኳም বেী বিমর্ষ ভাবে কহিল, আরও একটু দেখচি। আমার পিণ্ডি-আরো একটু দেখে কি হবে ? ড্যাকরা আজ এত বেলায় কি আর আসবে ? দেখা গে যা-গাজা খেয়ে ভেঁা হ’য়ে কোন ম্যাগীর বাড়ি পড়ে আছে। উপবাস করিয়া রাসমণির মেজাজটা একটু খিটখিটে রকমের হইয়া পড়িত ; কেহ কোন কথা কহিল না দেখিয়া আরো একটু কুপিত হইয়া বলিলেন, মুখপোড়া কবে মরবে যে আমাদের হাড় জুড়োবে। এবার ললনার আর সহিল না । দুঃখিতভাবে বলিল, পিসিম, একাদশীর দিন গাল দিচ্চ কেন ? একাদশীর দিন গাল দিচ্চ কেন ? কথাটা রাসমণির ভিতরে গিয়া পৌছিল। অস্তরে ব্যথা পাইলেন এবং রীতিমত লজ্জিত হইলেন ; কিন্তু ছোট ললনা যে এ কথা বলিয়াছে ইহাতেই দ্বিগুণ জালিয়া গেলেন। তুই সেদিনকার মেয়ে বুডো মাগীকে একাদশী-দ্বাদশী শেখাতে আসিস নে। তোরই বাপ হয়, আমার কি কেউ হয় না ? বলিতে বলিতে রাসমণির নয়ন আৰ্দ্ধ হইয়া আসিল-বাছা আমার তিন দিন বাড়ি আসে নি-বুকের ভিতর যে কি কচ্চে তা ইষ্টদেবতাই জানতে পাচ্চেন। অঞ্চল দিয়া এক ফোটা অশ্রু মুছিয়া, আমি বুড়ো মানুষ যদি একটা কথা বলি তা হলে তোরা চোখে আঙ্গুল দিয়ে তার ভুল দেখিয়ে পাঁচটা কথা শুনিয়ে দিস!-কাজ নেই মা, আমি তোমার কোন কথায় আর থাকব না। তবে না খেয়ে শুকিয়ে শুকিয়ে বৌটা ম’রে যায়। তাই দুকথা বলতে হয় । ললনা অতিশয় দুঃখিত হইল। তাহার একটা কথায় এত গভীর অর্থ এবং আনুষঙ্গিক ক্ৰন্দনাদির কারণ ঘটিতে পারে সে নিজেই জানিত না । --পিসিমা আমার ঘাট হয়েছে, এমন কথা আমি আর বলব না । বাস্তবিক,