পাতা:শুভদা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৮৩

ゞbr登 দ্বাদশ পরিচ্ছেদ জয়ার মা অনেক গল্প করিল, সুরেন্দ্রবাবুর দয়ার কথাও প্রকাশ করিল ; কিন্তু কথায় কথায় ক্ৰমশঃ যখন সে শুনিল যে তাহার জয়াবতীর স্থানে আর একজন সদ্য অভিষিক্ত হইয়া আসিয়াছেন, এবং বাবু তাহাকে বহু সমাদরে বাগান বাটীতে স্থান দিয়াছে তখন জয়ার মা, অন্য আকৃতি ধারণ করিল। চক্ষু দিয়া আগুন বাহির হইতে লাগিল ; স্থান কাল বিবেচনাহীন হইয়া সে সেইখানেই বাগানবাটীর অধিকারিণীর উদ্দেশে বহুবিধা হীনবাক্য, গালিগালাজ আরম্ভ করিয়া দিল। ক্ৰন্দনের ধ্বনি ক্রমশঃ বাড়িয়া উঠিতে লাগিল ; আদম্য উৎসাহে নবীন করিয়া পুনরায় সেই কেশাকর্ষণ, সেই বুক চাপড়ানি!! দাসদাসীরা ভীত হইল, শান্ত হইবার জন্য অনেক বুঝাইল, শেষে বাবুর ভয় পৰ্য্যন্ত দেখাইল, রাগ করিয়া বাবু টাকা বন্ধ করিয়া দিবেন তাহাও বলিল, কিন্তু জয়ার মা বহুক্ষণাবধি তাহাতে কৰ্ণপাতও করিল না । পরিশেষে তাহারা বাধ্য হইয়া অন্য উপায় উদ্ভাবন করিয়া জয়ার মারি হস্ত হইতে বহু ক্লেশে নিস্কৃতি नांद्ध कड़िब्न । পথে আসিয়া জয়ার মা বাগানবাটী অভিমুখে চলিল। কন্যাশোক তাহার চতুগুণ উথলিয়া উঠিয়াছে, হিংসানাল পঞ্জরে-পঞ্জরে অগ্নি জ্বালাইয়া দিয়াছে। তাহার মনে হইতে লাগিল, তাহার কন্যাকে এ মাগী ডুবাইয়া দিয়া বলপূর্বক সে স্থান অধিকার করিয়া বসিয়াছে। গর্জাইতে গৰ্জাইতে তখন জয়ার মা বাগানবাটীতে প্ৰবেশ করিল। যে দাসী সম্মুখে পড়িল তাহার পানে ক্ৰোধ-কষাইত নয়নে চাহিয়া বলিল, সে ডাইনি কোথা ? সে বেচারী নূতন লোক ভয়ে ভয়ে পিছাইয়া বলিল, ঐ হোথা। সে যেমন প্রশ্ন করিয়াছিল, তেমনি উত্তর পাইল । সেও প্রশ্নের অর্থ বুঝিতে পারে নাই, জয়ার মাও উত্তরের অর্থ বুঝিতে পারিল না। আর একবার তাহার পানে সেইরূপ চাহিয়া বলিল, কোথা ?