পাতা:শুভদা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"s 9] !س বিন্দুবাসিনী বুঝিল হারাণ মুখুয্যের দুরদৃষ্টর কথা হইতেছে। সেও দুঃখিত হইল। প্ৰায় একমাস হইল হারাণের পাঁচ-ছয় বৎসরের একটি ছেলের মৃত্যু হইয়াছিল। সেই কথা মনে করিয়া বলিল, ভগবান কেড়ে নিলে মানুষের হাত কি ? আর জন্ম-মৃত্যু কার ঘরে নেই বল! প্রথমে কথাটার অর্থ কৃষ্ণঠাকুরাণী ভাল বুঝিতে পারিলেন না। কিছুক্ষণ পরে বলিয়া উঠিলেন, আহা মাসখানেক হ’ল ছেলে মারা গেছে বটে ; সে কথা নয় বিন্দু, সে কথা নয় ; মর্য-বঁচা ভগবানের হােতই বটে। কিন্তু এটা-তুই বুঝি কিছু শুনিস নি। মা ? বিন্দুবাসিনী কিছু বলিল না, কেবল তঁহার মুখপানে চাহিয়া রহিল। কৃষ্ণপ্ৰিয়া পুনশ্চ বলিলেন, হারাণ মুখুয্যের কথা বুঝি কিছু শুনিস নি ? বিন্দু জিজ্ঞাসা করিল, তার আবার কিসের কথা। DBDDSS DD SDD BD DSDBDD BBB DBBB DDD BBD ক’রেই মারেন ; কিন্তু পোড়ারমুখে মিন্সের জন্যে ত কষ্ট হয় না, কষ্ট হয় সোনার প্রতিমে বৌটার কথা মনে হ’লে। হতভাগী ড্যাকরার হাতে পড়ে তা এক দিনের তরেও সুখী হ’ল না। " বিন্দু যেমন মুখপানে চাহিয়া ছিল তেমনি রহিল, বিশেষ কিছুই বুঝিতে পারিল না ; কিন্তু ঠাকুরাণীরও এত কথা নিরর্থক বলা হয় নাই ; যেজন্য তিনি মূল কথাটা প্রচ্ছন্ন রাখিয়া ডালপালা ছড়াইতে ছিলেন তাহা সমাধা হইল। ঘাটে যতগুলি শ্রোতা ছিল কাহারও বিস্ময় ও কৌতুহলের সীমা রহিল না। প্রত্যেকেই মনে করিতে লাগিল, হারাণ মুখুয্যের এমন কি কথা হইতে পারে যাহা তাহারা জানে না, অথচ গ্রামের সকলেই জানে । অনেকক্ষণ ভাবিয়া চিন্তিয়া বিন্দু কহিল, পিসিমা, কথাটা কি শুনতে পাই নে ?