পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

砷 ভবানীর হঠাৎ অণিমাকে বিয়ে করে বসার খবর সমরেশ নন্দিতাকে জানায় নি, ঝোঁকের মাথায় শুধু একটি প্রশ্ন করে একখানা কার্ড লিখেছিল, খবর জানো ? নন্দিতাও তার নিজের নাম ছাপানো কাগজে খামের চিঠিতে সংক্ষেপে জবাব দিয়েছিল, সুখবর কি অজানা থাকে ? তারপর আর তার কোন সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি । ছাপাখানা চালু হবার পর একদিন তার কথা ভেবে মনটা ব্যাকুল হলে সমরেশ তাকে নিজের সমস্ত বিবরণ জানিয়ে এবং তার বিস্তারিত বিবরণ জানতে চেয়ে সুদীর্ঘ একখানা পত্র লেখে । নন্দিতা জবাবে জানায় যে তিন নম্বর মামীর চেষ্টায় তার একটা গতি হয়েছে জেনে সে খুব খুলী হয়েছে, নতুন একটা বই লেখা নিয়ে নিজে সে এতদিন মশগুল হয়ে ছিল, বইটা প্ৰায় শেষ হয়ে এসেছে, শীঘ্রই সে কলকাতায় ফিরবে এবং বলাই বাহুল্য যে তার নতুন ছাপাখানাতে তার নতুন বইটা ছাপতে দেবে। ছাপার। পয়সা অবশ্য দেবে ভবানী । মাসখানেক পরে একদিন সত্য সত্যই সাতখানা মোটা মোটা রুলটান খাতার পাণ্ডুলিপি নিয়ে নন্দিত প্ৰেসে হাজির হয়। তার সুন্দর স্বাস্থ্য আর হাসিখুসীি ভাব দেখে সমরেশ মনে মনে থ’ वन थोक । নন্দিতা বলে, কাল ফিরেছি, কালকের দিনটা বিশ্রাম করলাম, গাড়ীতে মোটে ঘুম হয় নি। আজ সকালে তোমার মামাবাড়ি গিয়েছিলাম। Sw8