পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুধু দেশের আর দশের জন্য কিছু করা যায়-কথাটা আমি মানতে दिक्स्ड्स । নন্দিতা আগেই কেটলিতে জল ভরে ষ্টোভে চড়িয়ে দিত, নিজের জন্য "সরিয়ে রাখা আলুভাজা আর মামলেটের টুকরাগুলি ভূদেবের জন্য প্লেটে সাজিয়ে ফেলত।

  • ভূদেবের জীৰ্ণ শীর্ণ চেহারা ; প্রথম রাতে যেটুকু ঘুম হয়, তারপর আর ঘুম আসে না, হাঁপানির টান না। উঠলেও আসে না।

সে বলত, নাই বা মানতে পারলে ? আমি তো তোমাব কাছে আব্দার করিনি যে আমার কথা মানতেই হবে ।

আপনার যুক্তি ভুল। কোন লজিক নেই। দেশসেবকেরা নিজেরাই ঠিক করবে কি ভাবে দেশেব ভাল করা যায—এটা হতেই পারে না !

নন্দিতা বলত, বসতে না বসতে আবন্ত হয়ে গেল ? ভূদেব বলত, আমি আরম্ভ করিনি। কিন্তু ! আমরা সেকেলে মানুষ, তর্কযুদ্ধ ভাল লাগলেও আগে জাকিয়ে বসে খানিকক্ষণ নানা বিষযে আলাপ করতাম, খানিকক্ষণ কথার পায়তাডা কষতাম কুমার বলত, সেদিন কি আর আছে ? কত সময় ছিল আপনাদের। নানা বিষয়ে আলাপ জমিযে কথার পায়তাডা কষতে গেলে তর্ক পর্যন্ত কোনদিন পৌছনো যাবে না, আমাকে আগেই কেটে পড়তে হবে । ভূদেব বলত, এই কথাই বলছিলাম সেদিন। সময় নেই, ধৈৰ্য নেই, চিন্তা করার সময় নেই, এরকম ব্যস্তবাগীশ মানুষদের সাধ্য আছে না। অধিকার আছে যে বলবে-এইভাবে দেশের উন্নতি হবে ? সব ত্যাগ করে যারা দেশসেবার কাজটাই জীবনের একমাত্র ব্ৰত করেছে।--তারাই পথের to MS its কুমার বলত, এসব সেকেলে নেতাদের আজগুবি কথা। আমরা যেটুকু বুঝেছি আর করেছি, করেছি আপোষে-সুবিধা পেয়ে। মাথা খাটাতে St 9