পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভুলেই গিয়েছিল যে মেয়েরা আঁতুড়ে সব শিশুর মতই ট্যা ট্যা করে কঁাদে কিন্তু কয়েক বছরেই তারা হয়। বালিকা, আরও কয়েক বছরে তরুণী এবং কয়েকটা বছর পরে যুবতী । ব্ৰততীর বিয়ে হয়েছিল, একটি ছেলে হয়েছিল । বনমালীই সব ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। হাসপাতালে নেওয়া থেকে সপুত্র তাকে বাড়ী ফিরিয়ে আনা পর্যন্ত শুধু নয়, ছেলের পাঁচ মাস বয়স হওয়া পর্যন্ত ডাক্তার কবরেজ আনানো আর ওষুধ পথ্য খাওয়ানোর সব ব্যবস্থাই করেছিল। ব্ৰততী জানত, মাইনে করা ভাড়া করা অধীনে লোকের এসব করেই থাকে । কর্তার কাছে খাতির বাড়ে বলে করে থাকে । হঠাৎ চিঠি এসেছিল। একদিনের মধ্যেই তাকে রওনা দিতে হবে স্বামী শ্বশুরের সংসারের দিকে। অনেক গাওনা গেয়ে, অনেক অজুহাত করে পাঁচ মাস সে বাপের বাড়ী কাটিয়েছে-এবার ফিরে যেতেই হবে স্বামী শ্বশুর। শাশুড়ী ননদের ঘরে, তার নিজের সংসারে । ভোর সাতটায় এই চিঠি পোষ্ট করা হল বেলা তিনটার গাড়ীতে তার দেওর इ७न्म झटद । ভোর বেলা পৌছবে । ভোরের গাড়ীতেই যাতে রওনা হওয়া যায়। সেজন্য ব্রততী যেন তৈরী হয়ে থাকে । ব্রততীর শ্বশুরের মর মর অবস্থা, নাতিকে দেখবার জন্য সে পাগল হয়ে উঠেছে, সুতরাং কোন কারণেই রওনা হতে যেন বিলম্ব না করা হয়। এতই উত্তেজিত বিচলিত হয়েছিল ব্রততী যে চিঠিখানা দেখাতে বা মুখে জানাতে ভুলেই গিয়েছিল মা বাবা কিম্বা বনমালীকে যে ভোরবেলা তার স্বামী আর শ্বশুরবাড়ীর প্রতীক। একজন যোয়ান বয়সী দেওর এসে হাজির হবে তাকে নেওয়ার জন্য । আবছা ভোরে দু’চারজন মানুষ তখন জেগেছে। কলের ভো বাজেনি । জপ তপ সোরে বনমালী সামনের বারান্দার সিড়িতে বসে নিমের ডাটা à o)