পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তারপর হঠাৎ মামী বনে গিয়ে সে সব মানসিক দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে দিয়েছে। তার আগ কোন মেয়ের পক্ষেই নন্দিতাকে ডিঙ্গিয়ে তার মন উকি দেওয়া সম্ভব ছিল না । কিন্তু নন্দিতা মামী বনে যাবার পরও সে কোন কোন মেয়ের জন্য আকর্ষণ অনুভব করে না ? মাঝে মাঝে অবশ্য মনে হয় সুমিত্রার সঙ্গে একটু ভাব করলে দোষ কি ! সুমিত্ৰা যে অনেকদিন থেকেই ওরকম কিছু প্ৰত্যাশা করে আসছে তাও তার অজানা নয় । दिङ् (2° 6न् ए 6 5] !! কারবারটা গেছে । বড় একটা বাড়ি আছে বটে কিন্তু এতবড় বাডি আর এতগুলি পোষ্যই যেন তাড়াতাড়ি এনে দিযেছে অচল অবস্থা । তবু আজও সমাবেশ অবশ্য ধারণাও করতে পারে না যে তার নিজের প্রাণের দাম কতটুকু। সেও তো একটা ব্যক্তি । তারাও তো ব্যক্তিগত হিসাব আছে জীবনের দাম কষাকষির। কিন্তু সে এখনো বোঝেনি যে এতদিন দু’চার জনের কাছে ছাড়া তার প্রাণের দামটা ছিল বিরাট ব্যবসা আর অনেক পযসা থাকার �-ତିi୩ ୩tୟ । টাকাই যাদের ধর্ম এবং কর্ম, খেটে রোজগার করা টাকা নয, মানুষের রক্ত শোষণ করা টাকা-সে সব মানুষ তুচ্ছ হযে গেছে। ওরা তার মরা বঁচা তুচ্ছ করেই চলবে। হঠাৎ সে দোতলাটা ভাড়া দিযে দেয় রমণীমোহন নামে একজন মোটা পেনসন-ভোগী ভদ্ৰলোককে-তারও মন্ত বড় পরিবার। প্ৰত্যেক মাসে ঠিক তারিখে নিয়মিত ভাড়া দেয । নিজেই আসে । SV)8