পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: না, রাত হয়েছে, এবার পালাই। সমরেশ একমুহূর্ত ইতস্তত করে বলে, যাবে ? চলে তোমায় খানিকদূৱ এগিয়ে দিয়ে আসি । সুমিত্ৰা টের পায়, হঠাৎ সে মন স্থির করেছে। তার রহস্যময় রূপান্তরের কারণ আজকেই সে তাকে সব খুলে বলবে। সুমিত্ৰা বলে, চাও তো আরও খানিকক্ষণ বসতেও পারি। এত রাতে বাড়ি ফিরে আবার

তা হোক, কথা বলতে বলতে এগোই চল ।

প্রীতিকে খুন্সী করে তারা বার হয়, পথে নেমে সমরেশ জিজ্ঞাসা করে, বাড়ি পর্যন্ত হেঁটে যেতে কষ্ট হবে ?

আমার কষ্ট হবে ? খুব মিষ্টি ভদ্রতা শিখেছি তো আজকাল! নিজের কষ্ট হবে কি না। তাই বলে !

সুমিত্ৰা গম্ভীর হয়ে গভীর আপশোষের সঙ্গে যোগ দেয়, দাদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কি চেহারাই যে করছ দিন দিন! অসুখ বিসুখ হয়নি তো ? তুমিও লুকোচ্ছ না তো ?

না, অসুখ হয়নি ।
হতে কতক্ষণ ? রোগ তো ওৎ পেতেই আছে। দাদা কি ভাবতে

পেরেছিল এমন একটা বিষম রোগ ধরবে ? তুমি কিন্তু সাবধান ! তোমার মত রোগ দুর্বল মানুষকেই কিন্তু সহজে কাবু করে। ঃঃ আমাদের বংশে কারো কখনো ছিল না । ঃ এটা কি বংশগত রোগ নাকি ? এত লেখাপড়া শিখে তোমরাও যদি একটা ধাত থাকে । বংশগত ধাত ? কি যে বলে ! ধাত যদি বলতে চাও তো বলে অপুষ্টির ধাত, দুর্বলতার ধাত, বেশী খাটুনীর ধাত। সমরেশ চুপ করে হাটে । SS