পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বসষায় চেষ্টা করে। কিন্তু শান্ত আর শক্ত যেন কিছুতেই হতে পারে না।-- বিচলিত অবস্থাটা আয়ত্তে আনতে পায়ে না । কে জানে কি হয়েছে তার। শরীর ভাল নেই ? মন ভাল নেই ? নতুন কোন অঘটন ঘটেছে ? সমরেশ প্ৰায় নির্বিকারভাবেই জিজ্ঞাসা করে, মাঝে মাঝে ছোটমামার বাড়ি যাও বলেছিলে, তোমাদের নাকি ঝগড়া হয় নি, শুধু ছাড়াছাড়ি । ছোটমামীর ব্যাপার স্যাপার কিছু লক্ষ্য করেছ ? নন্দিতা একটু রেগে বলে, জেনে শুনে কেন খোচা দাও ? জানো যে নিরুপায় হযে ব্যবস্থাটা মেনে নিয়েছি

কি ব্যবস্থা মেনে নিয়েছ ? নন্দিতা কয়েক মুহুর্ত চুপ করে থেকে বলে, সত্যি জানো না ? কিছু

জেনেও জানো না বলার ধাত তোমার নেই জানি। বলতে লজ্জা করছে, তবু বলি। অণিমাকে ঘরে এনে মেতে গিয়েছিল তো মানুষটা, আমার জন্য তেমন মাথা ব্যথা ছিল না। মাঝে মাঝে শুধু বলত, কেন এরকম করছ, এখানে এসেই থাকো না, অণিমা আছে তিন তলায়, তুমি থাকবে দোতলায়, গণ্ডগোল তো কিছুই নেই ! আমি শুনতাম আর হাসতাম। অণিমার জন্য ঝোঁকটা গত কয়েক মাস হল তাড়াতাড়ি কেটে যাচ্ছিল-কপূর উড়ে যাওয়ার মত। কত নিন্দাই যে করত। আমার কাছে। বুঝতে পারছি ব্যাপারটা ?

বুঝতে পারছি। কাল বিকালে গিয়েছিলাম, দেখে এলাম ছোট মামী মামার বোতলের মদ চালাচ্ছে । ওকে তো বিয়ে করেছিল রাগের মাথায়, তোমার ওপর ঝাল। ঝাড়ার জন্য। খুব মিষ্টি আর চালাক ছিল—তাই মেতে গিয়েছিল। শুধু মিষ্টি আর মেয়েলি চালাকি কদিন মামার মত লোকের ভাল

লাগে বল ? নন্দিতা আশ্চৰ্য হয়ে বলে, তুমি না। কাজে ডুবে আছ, হিমসিম খােচ্ছ, 丸84