পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাথা কিন্তু নীচু করে না নন্দিতা। মাথা উচু রেখেই বলে, অনেক ঝগড়াঋটি হল ঃঃ আগে তো হয় নি ?

আগে যে চাইলেই চেক দিত ।
9:

নন্দিতা বলে, দু’তিন মাস নাচিয়ে সোজাসুজি প্ৰাণের কথাটা বলল যে হাপ্তায় অন্ততঃ তিন দিন ওর বাড়ির দোতলায় আমায় দিনরাত কাটাতে হবে --নইলে আমার নামে এক পয়সার চেকও। আর কাটবে না । আমি অগত্যা রাজী হয়ে গেলাম। বিয়ে করা স্বামী তো, দেহটার সামাজিক মালিক তো, তপ্তায় তিনটে রাত চোখ কান বুজে সামলে সুমলে মানিয়ে দেব। উপায় কি, নইলে সত্যিই চেক পাব না । সমরেশ মুখ খুলতে যাচ্ছিল নন্দিতা আঙল উচিয়ে তার মুখ বন্ধ করে বলে, চেক না পেলে কি বিপদ তুমি জান না। বলতে চাইছ তো অনেক কিছুই । মারি অসুখটা সারে নি, চিকিৎসা চলেছে বলেই কোনরকমে খাড়া আছেচিকিৎসা বন্ধ হলেই মা কান্ত হবে । বাবার চোখে কি যেন হয়েছে, অনেক পয়সা খরচ করলে সারিতেও পারে, নইলে অন্ধ হযে যাবে। চোখ নষ্ট হওয়া মানেই বাবার চাকরী খতম । এদিকে আমার ছাপা হবে না - খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে সমরেশ জিজ্ঞাসা করে, ছোট মামী। কিভাবে নিয়েছে ব্যাপারটা ?

খুব খুলী হয়েছে। বলে, বাবা বাঁচলাম, হাপ্তায় তিনটে দিন তো ছুটি পাব, তোমার ওপর দিয়ে ঝনঝাট কেটে যাবে।

নন্দিতা গম্ভীর হয়ে বলে,এটাও একটা যুক্তি ধরতে পার আমার পক্ষে । আমার আরেকটা হিসাব-বেচারাকে খানিকটা রেহাই দিচ্ছি। ওকি সামলাতে পারে ? দিশেহারা হয়ে মদ খেতে শিখেছে। এমনি খুব চালাক চতুর। কিন্তু আদুরে মেয়ে, নরম মন । আমার গলা জড়িয়ে ধরে কি বললে NA 8 R 0)