পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমরেশ সঙ্গে সঙ্গে বলে, তোমায় ভড়কে দিতে চাই নি। না বললেও চলত না । কিন্তু এত ভাবিছ কেন ? দুশ্চিন্তাকে এত প্ৰশ্ৰয় দিচ্ছি কেন ? আতঙ্ক আর দুশ্চিন্তা কলেরা, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড-এসব অনেক রোগের চেয়ে বেশী মারাত্মক । আমি নিজে টের পেয়েছি। মরার বাড়া গাল নেই কথাটা সত্যি, ভারি খাটী কথা । এভাবে বঁাচার সুযোগ না। যদি থাকেএভাবে বঁাচার জন্য লড়াই করার মধ্যে বঁাচার সুখ পাব। আমি বঁচি কিম্বা আমার ছেলেমেয়ের বঁাচে । নন্দিতা বিরক্ত হয়ে বলে, চুপ করে। ওসব বড় বড় কথা শুনতে আর उछांव ब्लां?ioछ न । সমরেশ বলে, চুপ করলাম। শুধু একটা আবেদন জানাতে চাই। সংক্ষেপে छोक्रादि । জবাবে নন্দিতা মুখে কোন কথা বলে না। স্থির দৃষ্টিতে তার মুখের দিকে চেয়ে থাকে । সমরেশ বলে, মনটা আগের মত শক্ত কর না ? কিছু না জেনে না বুঝেই আগে মনটা খেযাল খুন্সীতে শক্ত করে নিযেছিলে,-অনেক কিছু জেনে বুঝে এবার মনটা শক্ত করা ? ভাবের তেজটা এবার সত্যিকারের কাজের তেজে पैगंफु कद७ि ? নন্দিতা বলে, চুপ কর। কখন চুপ করে থাকতে হয়, কখন কথা কইতে নেই, এটা তুমি দয়া করে শিখবে ? ফাকা উপদেশ দেবার ঝোঁকটা একটু সামলাবে ? আমার কি মনে হচ্ছে জানো ? আমার জীবনে মহা একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে এটা যেন তোমার কাছে মজা করে মাথা ঘামানোর মন্ত একটা সুযোগ । সমরেশ বিব্রত হয় না, কাতর হয়ে মাপ চায় না, নম্র সুরে বলে, তা ঠিক । কাজে কিছু করতে পারব না, বড় বড় উপদেশ আর নীতি কথা শোনাবএটা সত্যি আমায় একটা বিশ্ৰী রকম দোষ । Rà S)