পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অর্থাৎ ব্রততী আর তার বাচ্চাটাকে নিয়ে সন্ধ্যার গান্ধীতে রওনা দেবে, এ ব্যবস্থা মেনে নিয়েছিল । দুপুরে সমরেশের সামনেই ব্রততী ঘণ্টাখানেক বিরামকে বুঝিয়েছিল, পরামর্শ দিয়েছিল। সমরেশ কিছু বুঝবে না, এই ছিল তার ধারণা । ব্রততী বলে গিয়েছিল, বিরাম একটা চিঠি লিখে ফেলেছিল মহিমের কাছে। ‘শ্ৰীশ্ৰীচরণেষু তালুই মশাই’ সম্বোধন ফেদে লিখেছিল যে টেলিগ্রামে : যখন স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে যে বৌদিকে নিয়ে যেতে হবে না, বৌদিকে নিয়ে যাওয়ার সাহস তার নেই । নিয়ে যাওয়া উচিত হবে না । বাপ মরার খবর পেয়ে তার মাথা বেঠিক হয়ে গেছে। পথে হয় তো বিপদ-আপদ ঘটে যাবে। সুতরাং সে একলাই বিদায় নিল । মেয়েকে চিরদিনের জন্য বিদায় দিতে সন্ধ্যার আগে বাড়ী ফিরে বিরাম মালপত্র নিয়ে বিদায় হয়ে গেছে শুনে এবং তার চিঠি পড়ে মহিম বলেছিল, চালাক চতুর ছেলে। কিন্তু একদম তেজ নেই। চিঠিতে লিখে রেখে পালিয়ে না গিয়ে কথাগুলো আমার মুখের ওপর বলতে তো পারত ? আমি কি ওকে কয়েদ করেছিলাম । ব্রততী বলেছিল, কয়েদ করতে পার ভেবেই হয় তো ভয় পেয়ে পালিয়েছে । সকালের পাওনা চড়টা কী জোরেই যে পড়েছিল ব্ৰততীর গালে-তার নাতির মা মেয়ের গালে ! / বনমালী আপশোষ করে বলেছিল, মহিম, ব্রেক সারাও, ব্রেক সারাও । এবার অ্যাকসিডেণ্ট হৱে যে ! অনেককাল আগেকার কথা এসব । সে তখন ছিল বালক । স্মৃতিতে গাথা হয়ে আছে ঘটনাগুলি । وه