পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছ’মাসে ছাপাখানা চালান এবং বই ছাপানো থেকে লাভ দেখাতে পারে। নি। কিন্তু আগামী লাভের এমন সুচনাই সৃষ্টি করে যে খুলীর সীমা থাকে না ভবানীর । ছ’মাস সে স্বাধীনভাবেই সব কিছু চালাতে দিয়েছে সমরেশকে-সমরেশ মাঝে মাঝে এসে আরও টাকার দাবী জানালে নীরবে চেক সই করে দিয়েছে । সমরেশ ভাবে, এটা বোধ হয অণিমা আর নন্দিতার ডবল চাপের ফল । দু’জনের কাছেই সে নিয়মিত ভাবে যায়। দু’জনকেই খুন্সী রাখার চেষ্টা bॉलिश शोंभ । সে অবশ্য বছর দু’যেকের মধ্যে জানতে পারে নি যে ভবানী তার পাগলের মত উঠে পড়ে কাজে লাগা থেকে ছাপার কাজ, বই ছাপা, বই বিক্রির ব্যবস্থা ইত্যাদি সমস্ত খবর বরাবর জেনে এসেছে । অণিমা হঠাৎ কেন বাপের বাডি চলে যায় কেউ বুঝতে পারে না। ভুবনের মা বার বার বলে, বাবা রে বাবা, কী রকম যে ছটফট করছিল। কদিন ধরে, রাতে ঘুম নেই, দুপুরে একটু শোষা নেই-নাওয়া নেই, ལ་གཅ། নেই, খালি ঘরে বাইরে করে বেড়ানো। বাবুর নতুন আস্ত বোতলটা দু’দিনে কাবার করেছে, দুপুর রাতে ডবল দাম দিয়ে বাবুকে ফের বোতল আনতে তল । মোকে ডেকে ডেকে কতবার যে জিজ্ঞেস করলে-হঁ্যা ভুবনের মা, মদ নাকি বিষ, বেশী করে খেলে মরব না ? নন্দিতা রেগে বলে, ভুবনের মা, আমার জা-এর ব্যাপার তুমি আমার চেয়ে ভাল বোঝা ? মুখটা একটু বন্ধ রাখলে দোষ কি ? না জেনে না বুঝে বক্‌ বক কর কেন ? তিনটে মদের বোতল ছিল, ছোট বৌ তিনটে বোতল মেঝেতে আছড়ে ভেঙ্গে বাপের বাড়ি গেছে । ঘরটা সাফ করেছি। আমিআমি জানি । নগদ নগদ মরতে হলে যে মদের বিষে কুলোয় না, আসল বিষ খেত্তে হয়—এটুকু বুদ্ধি ছোট গিরির ছিল। ওর নামে এরকম মিছে বদনাম রাটিয়ে বেড়ালে তোমায় কিন্তু আমি বাছা তাড়িয়ে দেব । RSS