পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারিবারিক ভাবে একদিন ভোয়ে সুরু হয়ে বিকালেই শেষ হয় জামাই-) বিদ্যায়ের পর্ব । বেশ বেলা থাকতেই । " . বড় মেয়ে বিছানা নেয়। অন্য দু’জন পরস্পরের চুল বেঁধে দেবার জন্য আসে ব্ৰততীর ঘরে । আশ্চৰ্য এই যে বড় বড় কুমারী বোনেদের চুল বাধার তাগিদ থাকলেও তারা দিদিদের এই চুল-বাধা সম্মেলনের ধারে কাছে উকি দেয় না। কাছাকাছি বয়সের তিনজন কম বেশী ছেলেমেয়ের মা গিন্নিবান্নি মেয়ে মানুষ পরস্পরের মুখের দিকে চেয়ে মিনিট চারেক চুপচাপ থাকতে পারো---এই অদ্ভুত ব্যাপার একমাত্র সমরেশ ছাড়া কারো নজরে পড়ে না। ব্ৰততীর কাছে কয়েকটা টাকা নেওয়ার জন্য সে পাশের ঘরে ওৎ পেতে ছিল । ওদের চাপেই ভোরের গাড়ীর বদলে সন্ধ্যায়। গাড়ীতে ফ্লাওনা হতে কুঞ্জী হয়ে সোমনাথ ভোরবেলা বন্ধুৰান্ধবের সঙ্গে দেখা করতে বিদায় হওয়ার পরেই ওরা এসে জুটেছিল ব্ৰততীর ঘরে । মিনিট কয়েকের বেশী কি আর চুপচাপ মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে পারে মেয়েরা ! ব্রততী প্রথম মুখ খোলে ।

তার মানেই বাবার কারবার শেষ হয়ে গেছে। দু’হাপ্ত থাকবে ঠিক করে এসেছিল, দরকার হলে আরও এক হগুণ যাতে থাকতে পারে সে ক্যবস্থাও করে এসেছিল । বাবার কারবারের অবস্থা আঁচ করেই পালিয়ে যাচ্ছে ।

বড় বোন সতী বলে, পালাবে কেন, লেজ গুটিয়ে পালাকায় মানুষ ওয়া নয়। ফাৰুণ চেষ্টায় কিছু করা যাবে না, সব কিছু চুলোয় গেছে, অসম্ভক দায় না নিয়ে তাই কেটে পড়ল । উনিও তাই বলছিলেন । নিজেদেয় খরচে থেকে নিজেদের খরচে বাবার কাজটা কৱন্ধ যাৰ তাতে কোন দায় নেই, BBDBB BDBB DBS DBDzY BBL BBuYBYSBuuBB BBB YS