পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমৱেশ বিরল মুখে বলে, তবে আর মামীকে বলে কি হবে ? ছোটমামা টাকা দেবে না । বনমালী ক্ষোভে কাতর হয়ে কপাল চাপড়ে বলে, এই তো দোষ তোদের, কিছু জানিবি না বুঝবি না, বড় বড় কথা বলবি। জগৎ সংসারের কায়দা কানুন। একটু জেনে বুঝে নিতে হয় তো ? শ” তিনেক টাকা সম্বল করে ঘর ছেড়ে তোৱ মামা যে এত টাকা কামাচ্ছে, একি ম্যাজিকে হয়েছে ? তোর মামা চুচি হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরোবার কায়দা শিখেছিল, বখাটে হোক আর যাই হোক, তোদের মত হাবাগো বা ছিল না । ঃ ছুচি হয়ে ঢুকবার কায়দাটা বাৎলে দাও না । : একদিনে কি বুঝিয়ে বলা যায়, শিখিয়ে দেয়া যায় ? ওসব হল ধাতের ব্যাপার-ধাত গড়ে তুলতে হয়। যেটুকু বললাম তুই সেটুকু কর দিকি বাবা । মামীর কাছে যা-হেসে কেঁদে রাসিয়ে কথা বলে আব্দার করে তোষামােদ করে মামীর মনটা ভিজিয়ে দি'গে যা । তারপর মামীই সব ঠিক করে দেবে। বমমালী ফোকলা মুখে হাসে। বলে, তোর ছোটমামার দশ বছরের গায়ের জ্বালা দশ মিনিটে ঠাণ্ড করার কায়দা তোর ছোটমামী জানে। বোকা হাবা ছেলেমানুষ তুই ওসব বুঝবি নে। যা বললাম সেটুকু শুধু কর—ফল হয় ভাল না হলে কি আর করা যাবে! পরদিন সকালে সমরেশ তার ছোট মামার বাড়ী যায়। প্ৰকাণ্ড বাড়ীতে প্ৰাণী মোটে পাঁচজন। মামা মামী ছেলে আর চাকর দাসী রাধুনি। লোকাভাবে যেন খ খ করে বাড়ীটা-সাজানো গোছানো লোকশূন্য ঘরগুলি যেন সুসজ্জিত বিধবার মত, গুচিশুভ্ৰ শুদ্ধতায় শ্মশানের প্রতীক-শূন্যতার মত হাসফাস করছে ! cञ्iांक फांद्दे ! खान फ्रांझे ! 总令