পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লেখকের কথা কয়েক বছর আগে একটি অখ্যাতনামা ছোট নূতন মাসিক পত্রিকায় এই উপন্যাসটি ধারাবাহিকভাবে লিখতে শুরু করেছিলাম ! কয়েক মাস প্ৰকাশিত হবার পর পত্রিকাটির আকাল মৃত্যু ঘটে এবং যথারীতি আমারও বইটি শেষ করার উৎসাহে ভাটা পড়ে যায় । এতদিন পরে আবার নতুন করে গোড়া থেকেই বইটি লিখে ফেলেছি। নতুন উপন্যাস ফাদার চেয়ে খানিকটা লেখা উপন্যাস লিখে শেষ করা সাধারণত সহজ হয়-যদিও নিয়মটা সব ক্ষেত্রে খাটে না । প্রথম লাইনটি লিখবার আগেই বেশ কিছুদিন উপন্যাসটি নিয়ে মাথা ঘামাতে হয়-কতকগুলি দিক ভেবে রাখতে হয়, কমপক্ষে আসল কাহিনীর মূল ভিত্তিটা মনে মনে ছকে fRCVS R3 অর্থাৎ আরম্ভ করা উপন্যাসে অনেকটা কাজ এগিয়ে থাকে । এটি আমার পরীক্ষামূলক উপন্যাস। আমার বিশ্বাস, প্ৰধান নায়ক ও নায়িকাদের প্রধান করে বজায় রেখেও সংশ্লিষ্ট আরও অনেক চরিত্র আমদানি করলে উপন্যাসের শ্রেণীগত সামাজিক বাস্তবতা রূপায়ণে সাহায্য হয় । উপন্যাস লেখার পুরানো একটি রীতি অথবা নীতি আজও অনেকে আঁকড়ে আছেন-সেটা এই যে উপন্যাসে কোন চরিত্র আনলে তার একটা গতি ও পরিণতির সম্পূর্ণতা দিতেই হবে। শেষ পর্যন্ত মানুষটার কি হল। আমার প্রথম উপন্যাস ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’য় আমি প্রথম এই নিয়ম ভঙ্গ করি । কয়েকটি ছোটখাট চরিত্রের বেলা তো বটেই, দু’টি প্রধান চরিত্র মতি ও কুমুদের বেলাতেও কুমুদের সঙ্গে ট্রেনে মতিকে নিরুদ্দেশ যাত্ৰা করিয়ে সেইখানে ছেদ টেনেছিলাম-লিখেছিলাম যে সন্তানের প্রয়োজনে হয় তো