পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

; তোমার প্ল্যানে কাজ হবে না । তোমার মগজের প্ল্যান তোমায় মগজের মাকড়সাদের পেটে যাবে।

আরেকটা যুদ্ধ বাধা পর্যন্ত আমি কোনরকমে—
আরেকটা যুদ্ধ বাধবে কিনা কিছুই ঠিক নেই। যদি বা যুদ্ধ বাধে, সে পৰ্যন্ত টানতে পারবে না ।

বনমালী চুপ করে থাকে। কল্যাণী বলে, উনি নেই। তুই যদি সামলাতে পারিস ভেবেই সমুকে পাঠিয়েছিলাম । কল্যাণী ভেবে চিন্তে সমরেশকে তার কাছে পাঠিয়েছিল । বনমালী নীরবে এক টিপ নস্য নেয় । ভবানী বলে, এ কারবার বঁাচাতে চেষ্টা করাই বোকামি । বনমালী কাদের সঙ্গে পাল্লা দিতে চাইছে তোমরা জান না । বিজনেসে কি এরকম পাগলাটে একগুয়েমি চলে ? জেনেশুনে কারবারের পিছনে অ্যামি এৰু পয়সা ঢািলব না ।

তবে উপায় কি হবে ?

ভবানী সোজা হয়ে বসে সিগার ধরিয়ে বলে, উপায় আমি কয়ে দিতে পারি।--কিন্তু তোমরা কি তা মানবে ? এ কারবার বাদ দাও । হাজারটা ফুটো হয়েছে, ইদুরে খেয়ে শেষ করেছে, এ নৌকা আর কি চালানো যায় ? এ কারবার বাতিল করে দাও। মাদ্রাজে। আমি একটা ব্র্যাঞ্চ খুলিছি-সমুকে ভার দেব, বনমালীকে ও অ্যাসিস্ট করবে । ভবানী মুখ বাঁকিয়ে হাসে, ব্র্যাঞ্চণ্টা ভুববে জানি-কাই হোক, সমুর হাতেনাতে একটু শিক্ষা হবে। কল্যাণীও মুখ বাকিয়ে বলে, যা ভাল কুকিস তাই কয়। অক্ষার তো কোন উপায় নেই !