পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোজা হয়ে সহজভাবে দাড়িয়ে সমরেশের সঙ্গে সোজাসুজি অন্তরঙ্গ তামাসা জুড়ে প্রথম পরিচয়ের আলাপ সুরু করেছিল-অঙ্গেরও কোন ভঙ্গি করেনি कथॉब्र७ cकॉन अब्रांत 5ांलांनि । তবু সমরেশের মনে হয়েছিল, সর্বাঙ্গে সে যেন অবিরাম একটা হিঙ্গোল খেলিয়ে চলেছে, কথা যেন বলছে অভিনয় চরমে তোলা পর্দার সেরা তাৱকার ছায়ামূর্তির মত । মনে হয়েছিল নিছক একটা ধাঁধা । অনেক বছর কেটে গেছে তারপর । নিজের রহস্যবোধের ফঁাকির হিসাবে নন্দিতা রহস্যময়ী। কিনা তাই নিয়ে মাথা ঘামাবার সাধ আর ইচ্ছা দুই-ই শেষ হয়ে গেছে, বহুবার দেখা হয়েছে কথা হয়েছে নন্দিতার সঙ্গে । ক্ৰমে ক্ৰমে সে বুঝতে পেরেছে যে নন্দিতা মোটেই ধাধা নয়। তার নিজেরই গেয়ে মনের ধাধায় ওকে তার ধাঁধার মত মনে হয়েছিল । অল্প বয়স থেকে পড়া কোন উপন্যাসের কোন নায়িকার সঙ্গে নন্দিতাকে মেলাতে পারেনি বলে তার ধাধা লেগেছিল । এতকাল ধরতে পারেনি। সেদিন প্ৰথম জেনেছিল নায়ক নায়িকার চরিত্রের সাধারণ দিকগুলি উদ্ভট ও অস্বাভাবিক করে তোলার জন্য কি অকারণ ঝনঝাট আর দুশ্চিন্তা সাধারণ বইগুলিতে । প্ৰথম দর্শনে প্রেমের ধারা আজও তবে বজায় আছে উপন্যাসে ? কী অদ্ভুত খাপছাড়া ব্যাপার। তাই বটে। ঠিক। অনেকের সঙ্গেই নন্দিতার পরিচয় গড়ে তুলতে হয়। উপন্যাসের পরিচ্ছদের পর পরিচ্ছদে গড়ে তোলার পর দিনের পর দিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে মানুষের সঙ্গে পরিচয় গড়ে তোলা তার পোষাবে কেন ? মানুষের সঙ্গে মানুষের পরিচয় সোজা সরল ব্যাপার । কি দরকার তার মধ্যে হাজার রকম প্যাচ রেখে ? তবে, তাকে নিয়ে নন্দিতার স্নেহভরা পরিহাসের মাধ্যমে প্ৰথম পরিচয়ের VO: