পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫

লোকে আজও তাদের বড়লোক বলে । অবস্থা অবশ্য পড়ে গেছে। আগেকার সেই হালচাল নেই। তবু, যে রকম কাহিল অবস্থা চারদিকে সকলের, নুন আনতে ঘরে ঘরে যেভাবে পান্ত ফুরিয়ে যাচ্ছে—ক্ষয় হয়ে ফুরিয়ে যাচ্ছে প্ৰাণ-তার সঙ্গে তুলনা করলে আজও তারা বড়লোক বৈকি ! অভাবের কাদায় লুটোপুটি খাচ্ছে পুটি মোরল্লা পুচকে মাছের । রুই, কাতলা না হলেও তাদের সঙ্গেই গভীর জলে সাঁতার কেটে বাঁচবার মজা তো ভোগ করছে রামনাথের । লোকে জানতে বুঝতে সুরু করেছে যে রাঘব বোয়াল রুই কাতলার পিছু পিছু আরামে সঁতার কাটার দিন মাঝারিদের আর নেই। পাল্লা চলেছে গ্রাসের চেষ্টা ঠেকিয়ে প্ৰাণ বঁাচানোর। তবু ক’জন খবর রাখে লোকসানে আর দেনায় দেনায় তাদের অবস্থা কি ख्रिश्tछ ? নানাদিক থেকে গুটিয়ে আনতে আনতে আজ কি অবস্থা হয়েছে তাদের কারবারের ? বিলাতী কোম্পানীগুলি রাতারাতি ভোল পালটে ভারতীয় কোম্পানী বনে যাবার পর থেকেই যেন কেবলি তারা পা পিছলে পিছলে আছাড় খাচ্ছে एकभांठ । মহিম বেঁচে থাকতেই এসব ব্যাপার টের পাচ্ছিল। সমরেশ । ভালভাবেই টের পাচ্ছিল। মহিম মারা যাবার পরেই হাড়ে হাড়ে টের (*द्ध स्राब्रस्ट कब्रछ ।