পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংসারে একমাত্র প্রীতির সঙ্গেই মার ছিল সব চেয়ে বেশী রকম ঝগড়াঝাটি আর খিটমিটি। প্রীতির ছিল এক ব্ৰহ্মাস্ত্ৰ। মা খুব রেগে গিয়ে কপাল চাপড়ে তাকে যা-তা বলতে সুরু করলে সেও কপাল চাপড়ে চীৎকার করে বলত, জানি গো, BBB EDLDBDBBDBD BD DSBDBBB DD BDYiDD BB DDD তোমার দু’চোখের বিষ, উঠতে বসতে সাধ মিটিয়ে আমায় তো তুমি গালাগাল করবেই। মা সঙ্গে সঙ্গে চুপ হয়ে, যেত। মহিম মরার পর, কারবারের সঙ্কট সংসারে প্রচণ্ড চাপ দিয়ে সব কিছু ওলোট পালোট করে দিতে আরম্ভ করার পর, মা খিটমিটি বন্ধ করে দিয়েছিল শ্ৰীতির সঙ্গে । প্রীতিকেই যেন তার ভাল লাগত। সবচেয়ে বেশী । কড়ায়ে শাক নাড়তে নাড়তে ঢলে পড়ে গিয়ে মা বিছানা নিয়েছে । শাক নাড়া থেকে সংসারের সব ঝনঝাটে গ্ৰীতি হয়েছিল তার সহকারিণী। মা বিছানায় পড়ে আছে অনেকদিন । তাকে দেখে কল্পনা করা যায় না জীবিত আর মৃত মিলিয়ে এতগুলি সন্তানকে সে প্রসব করেছে । এতগুলি নতুন মানুষকে যে জন্ম দেয়, মোটে তিনজনকে রোগের কবল থেকে সামলাতে না পারলেও বাকী এগারজনকে বঁচিয়ে বাতিয়ে রাখেতার নাকি এই দশা ? ওই-মা ক’মাস আগেও এক হাল ধরে চালাত ভাত ডাল তারকারী বালি পাচন তৈরীর সমস্ত হাঙ্গামা । আরেক কাপা গরম পানীয় আর দুটো বাসি সেঁকা রুটি এগিয়ে দিয়ে গ্ৰীতি বলে, আজ একটু তাড়াতাড়ি বাড়ী আসিস সমু। ঃ কেন ? 8