পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই কথা কটা বলতে গিয়ে মা কি ভাবে আকুল হয়ে কেঁদে ভাসিয়ে দিত কল্পনা করে সমরেশ চুপ করে থাকে। গলায় ভাবাবেগের বাধা জমলে পুরুষেরা যেমনভাবে গলা খাকারি দিয়ে ধাতস্থ হয়, তেমনিভাবে গলা খাকারি দিয়ে শ্ৰীতি বলে, আলু, কিন্তু সত্যি ধারে আনি নি। আমি কি শুধু আনি পয়সাই এখানে ওখানে লুকিয়ে রাখি ভাবিসা, তোর ট্যাক একদম ফাকা হলে ঠেকা দেওয়া চলবে বলে ? আলুও আমি একটা দু’টো করে জমাই । আধ সেরের বেশী জমে গেছে। আলু, সিদ্ধ ভাত হবে। আর কালকের ফুলকপিটার যে ডাটা আছে তাই দিয়ে একটা চচ্চড়ি হবে, বাস। চার পয়সার পালং আমি আনিয়ে নেব-তোকে বাজারে, gऊँ झूद 2 । সমরেশ গম্ভীর হয়ে বলে, ব্যাপার কি বল দিকি ? শুরু করলি भांकि মাছ আনি না দিয়ে-তারপর বার বার বলছিস বাজারে যেতে হবে না ? প্রীতি শান্ত কণ্ঠে বলে, ব্যাপার আর কিছুই নয়-একটা সোজা হিসাবের কথা । বাজার খরচ আরও কমিয়ে দেব, বাড়ীর সকলের জন্য মাছ ডিম আনতে হবে না-বাইরে দোকানে বসে তোকে একটু মাংস ডিমাটিম খেতে হবে। ঃঃ আমার ভাবনা তোকে ভাবতে হবে না । বাজারে যাচ্ছি, আজ মাছ কিম্বা মাংস হবে ।

তুই বড় ছেলেমানুষ সমু। সমরেশ এবার একটু রাগের ভাব দেখিয়ে বলে, প্যাচাল না পেরে আসল কথাটা বল দিকি এবার ? দিদিগিরি ফলাস না ।
আসল কথাটা ? বলছি তো-ব্যস্ত হোস কেন ? মনটা ঠিক করছি বুবিস না ।

বলে সে উঠে গিয়ে তারে ঝুলানো গামছাট টেনে কল ঘরের দিকে b श् । সমরেশ ভাবে, সে বুঝি জানিয়ে গেল ফিরতে তার খানিকক্ষণ দেরী হবে । @令