পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজও সে উৎসাহে ভঁাটা পড়ে নি । অন্য মেয়ের ঘরে কিছু কিছু লেখাপড়া শিখেছে, একমাত্ৰ প্ৰণতিকেই মহিম কয়েক বছর স্কুলে পড়িয়েছিল। স্কুল খতম হয়েছে কিন্তু তার পড়ার চাড় শুকিয়ে যায়নি। তার ক্লাসের আগের চেনা মেয়ের প্রমোশন পেয়ে উপরের ক্লাসে উঠেছে, সে ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ করেছে তাদের অকেজো বই। পাড়ার স্কুলে পড়া মেয়ের ; কাছে প্ৰায় প্ৰতিদিন পড়া জেনে নিয়ে নিয়মমত পড়ে গেছে-পড়া বুঝতে চেয়ে চেয়ে জালিয়ে মেরেছে সমরেশকে । সমরেশ বলেছে, কেন মিছে জ্বালাচ্ছিস ? লেখাপড় তোর হবে না, আমার সময়ও নেই, সাধ্যও নেই খরচপত্তর করে তোকে পড়াই। প্ৰণতি এতটুকু দামে না গিয়ে বলে, খরচপত্তর করে পড়াতে বলেছি তোমাকে ? একটা বই কিনে দিতে বলেছি ? শুধু তো পড়াটা একটু বুঝিতে দিতে বলছি। ! সমরেশ কিছুদিন জ্বালাতন হয়ে বোনের উৎসাহ আর চেষ্টার বহর দেখে আর জ্বালাতন বোধ করেনি। বরং এই ভেবে লজ্জাই বোধ করে যে আজও লোকের কাছে বড়লোক বলে গণ্য হয়েও পয়সার জন্য প্ৰণতির পড়া বাতিল २कअरठ श्Cश्चgछ । উচু ক্লাসের বই প্ৰণতি মেয়ে-বন্ধুদের কাছ থেকে যোগাড় করতে পারেনি। উপরের দু’তিনটা ক্লাসের বই স্কুলের চরম পরীক্ষা পর্যন্ত দরকার হয়। ফাজিল চপল মেয়েটার একদিন সে কি বুকফাটা কান্না ! পড়া বন্ধ করে বিগড়ে যাবার হুমকি দিয়ে, বাড়ীর সকলের কষ্ট করা আরও খানিকটা চরমে তুলে স্কুলের চরম পরীক্ষার জন্য দরকারী বইগুলি কিতে দিতে সমরেশকে বাধ্য করেছিল । প্ৰাইভেট পরীক্ষা দিয়ে সে পাস করেছে। আরও পরীক্ষা পাসের অসাধ্য সাধনের চেষ্টা ছেড়ে দিয়েছে নিজে Vo