পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগে বইটা না দিয়ে এলে বেলা চটে লাল হয়ে যেত। দুপুরে খেয়ে দেয়ে বই না হলে বাবুর ঘুম আসে না। ভারি তো পড়ে, একটা বই পড়তে চার পাঁচ দিন লেগে যায়। শ্ৰীতি বলে, দাত মেজে এসে চা রুটি খেতে খেতে বকবক কর না নতি ? তোর জন্যে হঁাড়ি নামিয়ে আবার চা গরম করব ? ঃ খোচা দিয়ে কথা বল কেন ? সোজাসুজি বললেই হয় ! দু’মিনিটে কি করে সে কলঘরে গিয়ে দাঁত মেজে মুখ ধুয়ে আসে। সে-ই জানে। ফিরে এসেই ভঙ্গি করে বলে, শুকনো পোড়া রুটি আর ট্যাকটেকে চা-টুকু দয়া করে দাও গে। সেজডিডি । ইস, আমি তোমায় কীভাবে সারাদিন খাটিয়ে মারি । : মারিস না ? সমাবেশ টের পায় যতই ছ্যাবলামি করুক প্ৰণতি জানে যে এবার কোনরকম একটা জবাব দিলেই প্রীতি রাগে ফেটে পড়ে ধমক দেওয়া সুরু করবে। প্রীতির প্রশ্নটা কানো না তুলেই সে সমরেশকে বলে, বুঝলে না। বই-এর ব্যাপারটা ? বই হল বেলার দুপুরবেলার ঘুমের ওষুধ । চার পাঁচ দিন টোক ঢোক গিলে বই শেষ করে আমায় দেয়। পরদিন কানাইদা আপিস যাওয়ার আগে বইটা ফিরিয়ে দিতেই হবে-আমার সঙ্গে এই হল কড়ার । সমরেশ বলে, কানাই তো ফিরবে। রাত আট ন’টায়। আজ দুপুরে বেলার। তবে চলবে কি করে ?

তুমি কিছু জান না বোঝা না, ভাব যে সবাই বুঝি তোমার মত কাজপাগলা মানুষ ।

খিলখিল করে হেসে উঠেই হঠাৎ হাসি বন্ধ করে। প্ৰণতি মাথা নীচু করে খানিকক্ষণ চুপ করে থাকে। R