পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কারণ, বনমালী তাকে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দেবার কোন চেষ্টাই । করেনি । সে ক্ষমতাও অবশ্য তার নেই । বার বার ঠেকে ঠেকে সামলে সামলে, ঠেকে গিযে কিভাবে সামলাতে হবে। বনমালীর কাছে বার বার তার উপায় বাৎলে নিযে নিয়ে, হাতে নাতে তাকে জানতে হয়েছে কৌশলট । শিখেছে কি না কে জানে । মুখে বলতে সোজা কাজে করতে কঠিন কায়দা । এক বছরে এমন অবস্থা কযেকবার হয়েছে যে অঙ্কশাস্ত্রে পুরো নম্বর পাওয়া ছেলে সমরেশ ভেবে কুল কিনারা পায়নি-পরদিনের ক্রাইসিস কি করে @दोन् ग्रूडद । दन्भांब्ली दां९ब्ल क्रिन । আগের বছর ক-বাবুর কাছে কিছু দেনা করে একটা নতুন প্ৰচেষ্টা করা হয়েছিল । লাভ হযনি। তবে লোকসানও যায় নি । খ-বাবুর কাছে আরও বেশী টাকা ধার করে কী-বাবুর দেনাটা ঠিক সময়ে মিটিযে দিতে ক-বাবু গদ গদ হযে গিয়েছিল। সুন্দ নয়, সুদের হিসেবে টাকাটা দেনা করা যায নি । লাভের একটা বাখরা দেবার কথা ছিল। নগদ ফেরত পেয়ে ক-বাবু খুন্সীতে গদ গদ হলেও লাভের বাখরা না পেয়ে ক্ৰমে ক্ৰমে ক-বাবু অনেক বেশী ক্ষুব্ধ এবং ক্ষুন্ন হয়ে উঠেছে। গ-বাবুর কাছে অল্প কিছু টাকা নিযে ক-বাবুর লাভের বখরাটা মিটিয়ে দিযে তাকে খুন্সী করে আরেকটা প্ল্যানের জন্য তার কাছ থেকে মোটা রকম দেন আদায় করা যাবে । চুক্তি করতে হবে লাভের বাখরাটা বাড়িযে। লাভ যে সত্যই বাড়বে, হিসাব ছাড়িয়ে গিযে বেশী রকম বাড়বে, সেটা ভাল করে বুঝিয়ে দিতে হবে ক-বাবুকে ।