পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঃ তা বাজুক। কুমারের মা তাকে ভাত দেয় না, ভেজিটেবল ঘিয়ের লুচি আর দোকান থেকে কিনে আনা রান্না করা মাংস খাওয়ার-ঘরে রান্না ডাল তরকারী VS9rgFNSe QM8 সমরেশের মনে পড়ে যায়, মার হাতে চড় খেয়ে বাড়ী থেকে পালিয়ে আসার দিন রাত্রে কুমারের মা তাকে নিরামিষ ঘিয়েরই পরোটা খাইয়েছিল। খেতে বসে সমরেশ বলে, খেতে খেতেই বলুন মাসীমা, আমার একদম সময় নেই । কুমারের মা আগের মতই আদরের সুরে বলে, ব্যাটাছেলের সময় না। থাকাই সুখের কথা বাবা । রাশি রাশি কাজ করবে, রাশি রাশি , পয়সা কামাবে, দিনরাত ব্যস্ত হয়ে থাকবে । তবে শরীর দিয়ে তো কাজ, শারীর ঠিক থাকলে কাজও ঠিকমত করা যায়। শরীর বিগড়ে গেলে এক ঘণ্টার কাজ দশ ঘণ্টা খেটেও করা যায় না । সমরেশ ভাবে, সেরেছে! এমন লম্বা উপদেশমূলক ভূমিকা দিয়ে সুরু ? ব্যাপার তো তবে সত্যই খুব গুরুতর। নিরামিষ ঘিয়ে টাটুকা ভাজা আরও কয়েকখানা ফুলকো লুচি তার পাতে দিয়ে কুমারের মা কিন্তু আসল প্রসঙ্গে আসে, কুমারের তুমি ছেলেবেলার বন্ধু, ভায়ের বাড়া । কুমারের কি অসুখ হয়েছে লুলো চুরি না করে আমায় বলতেই হবে বাবা । ওর জ্ঞান বুদ্ধি কম, ঝোঁকের মাথায় চলে-ওর ওপরে ছেড়ে দিলে চলবে না । আমায় কিছু বলে না, হেসে উড়িয়ে দেয়। জানলে বুঝলে ব্যবস্থা হয়তো একটা করতে পারব। গোপন করতে পারবে না, তোমায় বলতেই হবে কুমারের অসুখটা কি ? সমরেশ একটু হতভম্ব হয়ে যায়। কুমারের অসুখ ? তাকে বলতেই হবে কুমারের অসুখের খবরটা ? Ves