পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমরেশ অবশ্য তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে কিন্তু নন্দিতা অন্য ধাতের মেয়ে । সাধ করে ধারে কাছে না ভিড়ুক, কোন নিমন্ত্রণ না রাখুক, নন্দিতা এসে পাকড়াও করবে। এই অসময়ে বাড়ী ছেড়ে পালাতে সমরেশ রাজী ছিল না । খুব ভোরে মোটর চেপে একেবারে তাদের বাড়ীতে এসে হাজির হয়ে নন্দিতা একদিন তাকে পাকড়াও করে । সমরেশও কম চালাক নয়। এক তার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ সে নন্দিতাকে দেয় না । সে সোরগোল তুলে দেয় যে ছোট মামার নতুন বৌ এসেছে-জাগো, खांशों, नवांछे छांदों ! আদর অভ্যর্থনা জানাও ছোটমামার নতুন বৌ-কে ! বাড়ীর সকলের কাছেই সমাদর জোটে নন্দিতার, এত ভোরে তার আসবার কারণ নিয়ে অনেক গবেষণা হয়, পাঁচজনের সামনে সাধারণভাবে সমরেশের সঙ্গে কথাবার্তাও সে বলতে পারে অনেক-কিন্তু একান্তে তার সঙ্গে আসল কথা বলার সুযোগ একেবারেই সে পায় না । মাঝে মাঝে একটু বিস্ময়ের সঙ্গেই সে সমরেশের মুখের দিকে তাকায়। তার মনের ভাব বুঝতে সমরেশের কষ্ট হয় না । সে আশ্চর্য হয়ে ভাবছে যে বোঝাপড়ার প্রশ্নটা বাদ যাক, কৈফিয়ৎ দেবার কিছুই নেই ধরে নেওয়া হোক, সাধারণভাবে তার মনের ভাব আর হিসাব-নিকাশটা জানিবার জন্যও কি এতটুকু কৌতুহল নেই সমরেশের ? হাল্কা সুরেও কি সে কোন মন্তব্য করবে: না বন্ধু থেকে এমন আচমকা তার ছোটমামী হয়ে যাওয়া সম্পর্কে ? নন্দিতার বিদায় নেবার সময় সমরেশ নিজে থেকে বলে, চলে তোমায় পৌছে দিয়ে আসি କd