পাতা:শুশ্রূষা - শ্যামাচরণ দে.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম পরিচ্ছেদ । Sq MS) পীড়িতাবস্থায় মন্তক শীতল জলদ্বারা প্ৰক্ষালন করিতে ভীত হইবার কোন কারণ নাই । সাধারণতঃ মস্তকে এক কিম্বা দুই ঘটি জল ঢালিলেই যথেষ্ট। রোগী নিতান্ত দুর্বল হইলে অথবা উঠিয়া বসা নিষিদ্ধ থাকিলে শায়িতাবস্থাতেই মস্তক ধৌত করিবে P এমত স্থলে মস্তকের নিম্নে একখণ্ড ‘অয়েল ক্লথ পাতিয়া লইবে । স্কন্ধের নিম্নভাগে বালিশ রাখিয়া মস্তকের ि একটু নীচু করিয়া জল ঢালিবে । শয্যার নিম্নে একটা পাত্র রাখিয়া দিবে যাহাতে জল গড়াইয়া তাহাতে পড়িতে পারে । মস্তক ধৌত করিয়া চুলগুলি যাহাতে সত্বর শুষ্ক হয় তাহার ব্যবস্থা করিবে। চুল ভিজা থাকিলে অনিষ্টের আশঙ্কা, তজ্জন্ত শুষ্ক তোয়ালে কিম্বা ঘন্ত্রখণ্ডদ্বারা উত্তমরূপে মুছাইয়া দিবে এবং প্রয়োজন হইলে মন্তকে মৃদু ব্যঞ্জন করিবে। স্ত্রীলোকের চুল সহজে শুকাইবার সম্ভাবনা नशे, এজন্য হাতে করিয়া বারবার ‘নিড়াইয়া দিবে। (৫) মুখপ্রক্ষালন—রুগ্নাবস্থায় সাধারণত: মুখে দুৰ্গন্ধ হইয়া থাকে। বিশেষতঃ বহু দিবসব্যাপী জ্বরাদি হইলে ত আর কথাই নাই, মুখ একে বারে “পািচয়া' যাওয়ার মত হয়। এ অবস্থায় প্রতিদিন মুখ প্ৰক্ষালন করিলেও অনেক সময় দন্তের পীড়া হইবার সম্ভাবনা। প্রত্যহ উষ্ণ জলে ধৌত করিলে তবুও অনেকটা প্রতিকার হইতে পারে। এরূপও দেখিতে পাওয়া যায়, অনেকে আলস্যবশতঃ সহজাবস্থাতেই দন্তধাবন করিতে ক্লেশ বোধ করেন, রুগ্নাবস্থায় ত কথাই নাই। ইহা অতি কৰ্ম্ম অভ্যাস এবং স্বাস্থ্যের পক্ষেও অত্যন্ত অনিষ্টকর। পীড়িতাবস্থায় বিশেষভাবে মুখপ্রক্ষালন করা কীৰ্ত্তব্য। প্ৰত্যুষে অন্ততঃ একবার গরমজলীে মুখ ধুইবে । আদা, লবণ, কচি পেয়ারা অথবা পাতিলেবুদ্বারা দ্বন্ত রগড়াইলে মুখ বেশ পরিষ্কার হয়। পাতিলেবুতে জিভও বেশ খরখরে