পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় Σ δ 8 চিন্তা করিয়া কহিলেন, দরওয়ানকে পাঠিয়ে দিই। আর একবার দেখে আসুক সে বাসায় ফিরেছে কি না । বলিয়াই চলিয়া গেলেন । কাল হইতে সারদা নিরন্তর চিন্তা করিয়াছে কে এই পীড়িত মেয়েটি । তাহার কৌতুহলের সীমা নাই, তবুও এই নিরতিশয় দুশ্চিন্তাগ্ৰস্ত উদভ্ৰান্তচিত্ত রমণীকে প্রশ্ন করিয়া সে নিঃসংশয় হইতে পারে নাই । কাল রাখালকে জিজ্ঞাসা করিলেই হয়ত উত্তর মিলিত, কিন্তু তখন এ প্রয়োজন তাহার ছিলনা, মনেও পড়ে নাই । এমনি করিয়া সকাল গেল, দুপুর গেল, বিকাল পার হইয়া রাত্রি ফিরিয়া আসিল কিন্তু রাখালের দেখা নাই। আরও পরে সে যে আসিতে পারে এ আশাও যখন গেল তখন সবিতা আসিয়া সারদার বিছানায় শুইয়া পড়িলেন, একটা কথাও বলিলেননা । কেবল চোখ দিয়া অবিরল জল পড়িতে লাগিল। সারদা মুছইয়া দিতে গেলে তিনি হাতটা তাহার সরাইয়া দিলেন । ঝি আসিয়া খবর দিল বিমলবাবু আসিয়াছেন দেখা করিতে। সবিতা কহিলেন, তঁাকে বলোগে বাবু বাড়ী নেই। কি কহিল, তিনি নিজেই জানেন । বললেন, আপনার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। বাবুর সঙ্গে নয় । সবিতার চক্ষে বিরক্তি ও ক্রোধ প্ৰকাশ পাইল। কিন্তু কি ভাবিয়া ক্ষণকাল ইতস্ততঃ করিয়া উঠিয়া গেলেন। পথে ঝি বলিল, মা ঘরে গিয়ে কাপড়খানা ছেড়ে ফেলুন। একটু ময়লা দেখাচ্চে । আজ এদিকে র্তাহার দৃষ্টি ছিলনা, দাসীর কথায় হুস হইল পরিধেয় বস্ত্রটা সত্যই দেখা করিবার মতো নয়। মিনিট দশ পনেরো পরে যখন বসিবার ঘরে আসিয়া উপস্থিত হইলেন