পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రీ শেষের পরিচয় পড়িল এক কড়া ঘোলের প্রতি, জিজ্ঞাসা করিল, এত ঘোল কিনলে কে ? - ব্ৰজবাৰু বলিলেন, ঘোল নয় ছানার জল। ভালো কাটলোনা কেন বলোত ? রেণু খেতেই চাইলেন । শুনিয়া রাখাল জলিয়া গেল, কহিল, বুদ্ধির কাজ করেছে যে খায়নি । সংসারের ভার তাহার পরে, রাত্রি জাগিয়া, অর্থ চিন্তা করিয়া, ছুটাছুটি পরিশ্রম করিয়া সে অত্যন্ত ক্লান্ত, মেজাজ রুক্ষ হইয়া পড়িয়ছে, রাগ করিয়া কহিল, আপনার কাজই এমনি । এটুকু তৈরি করেও যে রূপীকে খাওয়াবেন তাও পারেননা । সবিতার সম্মুখে নিজের অপটুতার জন্য তিরস্কৃত হইয়া ব্ৰজবাৰু এমন কুষ্ঠিত হইয়া উঠিলেন যে মুখ দেখিলে দয়া হয়। কোন কৈফিয়ৎ ৰ্তাহার মুখে আসিলনা কিন্তু সে দেখিবার রাখালের সময় নাই, কহিল, যান। আপনি ঠাকুর-ঘরে, যা’ করবার আমিই করাচি । ব্ৰজবাবু লজ্জিত মুখে উঠিয়া দাড়াইলেন, ঠাকুর-ঘরের কোন কাজই এখন পৰ্য্যন্ত হয় নাই,-সমস্ত র্তাহাকেই করিতে হইবে। আর একবার স্নানের জন্য নিচে ঘাইতেছিলেন সবিতা সম্মুখে আসিয়া দাড়াইলেন, বলিলেন আজ কিন্তু পূজো-আহ্নিক তাড়াতাড়ি সেরে নিতে চাবে মেজকৰ্ত্তা, দেরি করলে চলবেন । —কেন ? কেনর উত্তর সবিতা দিলেননা ; মুখ ফিরাইয়া রাখালকে বলিলেন, তোমার কাকাবাবুর জন্যে আগে একটুখানি মিছরি ভিজিয়ে দাও তি রাজু-কাল গেছে। ওঁর একাদশী-এখন পৰ্য্যন্ত জলস্পর্শ করেননি। রাখাল ও ব্ৰজবাবু উভয়েই সবিস্ময়ে তঁহার মুখের প্রতি চাহিল, ব্ৰজবাবু বলিলেন, এ কথাও তোমার মনে আছে নতুন-বো ?