পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় So তিনি এ প্রশ্নও চাপা দিলেন, শুধু বলিলেন, শুনেচি তোমাদের খুব ভাব। রাখাল বলিল, স্থা, কিন্তু সে বুঝি আর টেকেন। ও আজই চলে যেতে চাচ্চে বৰ্দ্ধমানের কোন এক পাড়াগাঁয়ে,-ইস্কুলের হেডু মাষ্টারি জুটেছে ওর, কিন্তু আমি বলি, তুমি এম-এ, পাশ করেছে। যখন, তখন মাষ্টারির ভাবনা নেই, এখানেই একটা যোগাড় হয়ে যাবে। ও কিন্তু ভরসা করতে চায়না । বলুন তো অন্যায় । শুনিয়া তিনি মৃদুহাস্যে কহিলেন, তোমার আশ্বাসে বিশ্বাস করতে না পারাকে অন্যায় বলতে পারিনে রাজু। তারকবাবু কি সত্যিই আজি চলে যাচেন ? তারক সবিনয়ে কছিল, এটি কিন্তু তার চেয়েও অন্যায় হোলো । রাখাল-রাজের পৈতৃক মুড়োটা স্বচ্ছন্দে বাদ দিয়ে করে দিলেন ওকে ছোট্ট একটুখানি রাজু, আর আমারই অদৃষ্ট এসে জুটুলো এক উটুকো বাৰু ? ভার সইবেন নতুন-ম, ওটা বাতিল করতে হবে। তিনি ঘাড় নাড়িয়া কহিলেন, তাই হবে তারক । সম্মতি লাভ করিয়া তারক সকৃতজ্ঞ-চিত্তে কি-একটা বলিতে যাইতেছিল, কিন্তু সময় পাইলনা, তাহার সস্মিত মুখের উপর হঠাৎ যেন একটা বিষন্নতার ছায়া আসিয়া পড়িল, গলার স্বরটাও গেল বদলাইয়া, বলিলেন, রাজু, আজকাল ও-বাড়ীতে কি তুমি বড়ু-একটা যাওনা ঘাই বই কি নতুন-মা। তবে, নানা ঝঞ্চাটে দিন পনেরো কুড়ি-- রেণুর বিয়ে,-জানো ? কই না ! কে বললে ? হা, তাই। আজ বেলা দশটায় তার গায়ে-হলুদ হয়ে গেল”, এ বিয়ে তোমাকে বন্ধ করতে হবে । ...--