পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S a শেষের পরিচয় রেণু বলিল, সকালে একটু মিছরি খেয়ে জল খেয়েচি, আজ আর কিছু খাবোন। একটু দুৰ্বল সত্যি, কিন্তু না রাধলেই বা চলবে কেন মা ? রাজুদার আসতে দেরি হবে, বাবাও ফিরবেন অনেক বেলায়, না স্বাধলে এতগুলি লোকে খেতে পাবেন ঘে। তাছাড়া আমাকে ঠাকুরের ভোগ রাধতেও হবে। এই বলিয়া সে রেলিঙের উপর হইতে *ाभछा९iन्मा কাধে ফেলিতেই সবিতা চমকিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি কি নাইতে পাচ্চো রেণু ? রেণু হাসিয়া বলিল, মা, ভুলে গেছেন। আপনি কি কখনো না নেয়ে ভোগ রোধেছিলেন নাকি ? সবিতার মুখে এ-কথার উত্তর আসিল না, সারদা বলিল, কিন্তু আবার স্বর হতে পারে তো রেণু। রেণু মাথা নাড়িয়া বলিল, না বোধ হয় হবে না,-আমি ভালো হয়ে গেছি । আর হলেই বা কি করবো। সারদা দিদি, যতক্ষণ ভালো আছি করতে হবে তা ? আমাদের করবার ত আর কেউ নেই। উত্তর শুনিয়া উভয়েই নীরব হইয়া বহিলেন । রান্না সামান্যই, কিন্তু সেটুকু সারিতেও যে রেণুর কতখানি ক্লেশ৷ বোধ হইতেছিল তাহা অতিশয় স্পষ্ট । জ্বরে অবসন্ন, সাত আট দিনের উপবাসে একান্ত দুৰ্বল। মেয়েটা মরিয়া মরিয়া চোখের সম্মুখে কাজ করিতে লাগিল, মা চুপ করিয়া বসিয়া দেখিলেন, কিন্তু কিছুই করিবার নাই। এ জীবনের পারিবারিক বন্ধন যে এমন করিয়া ছিড়িয়াছে, ব্যবধান য়ে এত বৃহৎ, এমন প্ৰত্যক্ষ উপলব্ধি করার অবকাশ বোধকরি সবিতার আর কিছুতে মিলিতনা। যেমন আজ মিলিল । w রান্না শেষ হইল, সারদাকে উদ্দেশ করিয়া রেণু কহিল, বাবার ফিরতে, পূজো আহ্নিক শেষ হতে আজ বোলা পড়ে যাবে, আপনি কেন নিথ্যে কষ্ট