পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSS শেষের পরিচয় প্রলেপে সে মলিন। বন্ধু সমাজে স্ত্রী বলিয়া পরিচয় দিবে সে কোন দুঃসাহসে ? আবার তখনি মনে পড়ে প্রথম দিনের কথা-সেই হাসপাতালে যাওয়া । মৃতকল্প নারীর পাংশু পাণ্ডুর মুখ, মরণের নীল ছায়া তাহার ওষ্ঠে, কপোলে, নিমীলিত চোখের পাতায় পাতায়,-গাড়ীর বন্ধ দরজার ফাক দিয়া আসে পথের আলো-তারপরে যমে-মানুষে সে কি লড়াই ! কি দুঃখের সেই প্ৰাণ ফিরিয়া পাওয়া ! এ-সব কথা ভুলিবে রাখাল কি করিয়া ? কি করিয়া ভুলিবে সে তাহারি হাতে সায়দার সমস্ত সমৰ্পণ । সেই দুচোখের জল মুছিয়া বলা—আর আমি মরবোন দেবতা আপনার হুকুম না নিয়ে । সেদিন জবাবে রাখাল বলিয়াছিল,-অঙ্গীকার মনে থাকে যেন চিরদিন । সেই দাসী আসিয়া বলিল, রাজুবাবু মা ডাকিচেন আপনাকে । আমাকে ? চকিত হইয়া রাখাল উঠিয়া বসিল । হাত দিয়া দেখিল চোখের জল গড়াইয়া বালিশের অনেকখানি ভিজিয়া উঠিয়াছে, তাড়াতাড়ি সেটা উল্টাইয়া রাখিয়া সে উপরে গিয়া নতুন-মারি পায়ের ধূলা লইয়া অদূরে উপবেশন করিল। এতদিন না-আসার কথা, তাহার অসুখের কথা, কিছুই নতুন-মা উল্লেখ করিলেননা, শুধু স্নেহাৰ্দ্ধ স্নিগ্ধ কণ্ঠে প্রশ্ন করিলেন, ভালো আছো বাবা ? রাখাল মাথা নাড়িয়া সায় দিয়া বলিল, একটা মস্ত বড় অপরাধ হয়ে গেছে মা, আমাকে মার্জনা করতে হবে। কয়েকদিন জ্বরে ভুগলুম, আপনাকে খবর দিতে পারিনি। নতুন-মা কোন উত্তর না দিয়া নীরব হইয়া রহিলেন। রাখাল বলিতে “ লাগিল, ওটা ইচ্ছে করেও না, আপনাদের আঘাত দিতেও না । মনে পড়ে মা, একদিন যত জ্বালাতন আমি করেচি ততো আপনার রেণুও না। তারপরে হঠাৎ একদিন পৃথিবী গেল বদলে,-সংসারে এত ঝড়-বাদল যে § හැරී