পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

δ δ শেষের পরিচয় মনের মধ্যে গিয়া কোথায় যেন আঘাত করিল । খানিক পরে বলিল, এরপরে দেশে থাকা আর চললোনা । ব্ৰজবাবু কলকাতায় এসে আবার বিবাহ করলেন,-সেই অবধি এইখানেই আছেন। আর তুমি ? রাখাল বলিল, আমিও সঙ্গে এলাম। পিসিমা তাড়াবার*সুপারিশ করে বললেন, ব্ৰজ, সেই হতভাগীই এই বালাইটাকে জুটিয়ে এনেছিল,- ওটাকে দূর করে দে। নতুন-মার মেহের পাত্ৰ ব’লে আমার পরে পিসিমা সদয় ছিলেননা। ব্ৰজবাবু শান্ত মানুষ, কিন্তু কথা শুনে তার চোখের কোণটা একটু হয়ে উঠলো, তবু শান্তভাবেই বললেন, ওই তো তার রোগ ছিল পিসিমা । আপদ-বালাই তো আর একটি জুটোয়নি,-কেবল ও-বেচারাকে তাড়ালেই ৗক আমাদের সুবিধে হবে ? পিসিমার নিজেদের কথাটা হয়ে গেছে তখন অনেকদিনের পুরণে,- সে বোধহয় আর মনে নেই। বললেন, তবে কি ওকে ভাত-কাপড় দিয়ে বরাবর পুষতেই হবে না কি ? না না, ও যেখানের মানুষ সেখানে যাক, ওর মুখ থেকে বাপ-মা মেয়ের কীৰ্ত্তি-কাহিনী শুনুক । নিজেদের বংশপরিচয়টা একটুখানি পাক । ব্ৰজবাবু এবার একটুখানি হাসলেন, র, ন, ও ছেলেমানুষ, গুছিয়ে তেমন বলতে পারবেন পিসিমা, তার বািঞ তুমি অন্য ব্যবস্থা করে। জবাব শুনে পিসিমা রাগ করে চলে গেলেন, বলে গেলেন, যা” ভালো বোঝে বাছা কোরো, আমি আর কিছুর মধ্যেই নেই। নতুন-মা যাবার পরে এ বাড়ীতে পিসিমার প্রভাবটা কিছু বেড়ে উঠেছিল। সবাই জানতো তার বুদ্ধিতেই এতবড় অনাচারটা ধরা পড়েছে। এতকালের লক্ষ্মী-শ্ৰী তো যেতেই বসেছিল। নবীনবাবুর দরূণ যে কায়বারের